ব্রিটিশ সিংহাসনের তৃতীয় উত্তরাধিকারী প্রিন্স জর্জকে হত্যার হুমকিদাতার স্বীকারোক্তি
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
যুক্তরাজ্যঃ ব্রিটিশ সিংহাসনের দ্বিতীয় উত্তরাধিকারী প্রিন্স উইলিয়াম ও তার স্ত্রী কেট মিডলটনের চার বছরের সন্তান প্রিন্স জর্জের ওপর হামলার ষড়যন্ত্রের স্বীকারোক্তি দিয়েছে এক আইএস সমর্থক। গত অক্টোবরে প্রিন্স জর্জের স্কুলে এ হামলা চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল।এ ঘটনাসহ আরও কয়েকটি ঘটনায় বৃহস্পতিবার তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে যুক্তরাজ্যের আদালত।হাসনাইন রাশিদ নামের ওই আইএস সদস্যকে সন্ত্রাসবাদের দায়ে চলতি সপ্তাহে লন্ডনের রাজকীয় আদালতের মুখোমুখি করা হয়। আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে লন্ডনের কেন্দ্রস্থলে কেনিংসটন প্রাসাদের কাছের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয় ব্রিটিশ সিংহাসনের তৃতীয় উত্তরাধিকারী জর্জ। জর্জ স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর আইএসের টেলিগ্রাম চ্যানেলে স্কুলের সামনে থাকা জর্জের ছবি প্রকাশ করা হয়। ৩২ বছরের হাসনাইন রাশিদের পোস্ট করা ওই ছবির ক্যাপশনে বলা হয়, ‘আগেভাগেই স্কুল শুরু হলো। এমনকি রাজপরিবারকেও ছেড়ে দেওয়া হবে না। বুলেটের সুরে যখন যুদ্ধ নিকটবর্তী হয়, তখন আমরা প্রতিশোধের লক্ষ্যে অবিশ্বাসীদের ওপর চড়াও হই।’ দুই মুখোশধারীর পোস্টে যুক্ত হয় প্রিন্স জর্জের স্কুলের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা। জঙ্গিদের এমন বার্তায় শিশু জর্জকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। ফলে স্কুলে জর্জের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়।
প্রসিকিউটররা আদালতকে বলেন, হাসনাইন রশিদ অনুসারীদের আইসক্রিমে বিষ প্রয়োগ এবং ফুটবল স্টেডিয়ামে হামলার ব্যাপারে উৎসাহিত করেছে। এমনকি নিজের অনলাইন ম্যাগাজিনে ‘লোন উলফ’ হামলার টিপস দেওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন।আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আগামী ২৮ জুন তার সাজা ঘোষণা করবেন উলউইচ ক্রাউন কোর্টের বিচারক। সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রমের দায়ে তাকে সাজা দেবেন আদালত।
সিরিয়ার এক আইএস অপারেটিভের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল বেকার ওয়েব ডিজাইনার হাসনাইন রাশিদের। তাদের মধ্যে বিস্ফোরক তৈরি এবং গুলি করে বিমান ভূপাতিত করার মতো বিষয়ে তথ্য আদানপ্রদান হয়। আইএসে যোগ দিতে হাসনাইন সিরিয়াও যেতে চেয়েছিল। ২০১৭ সালের নভ্ম্বেরে উত্তর-পূর্ব ইংল্যান্ডের ল্যাঙ্কাশায়ারের নেলসন এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।