গভর্ণর পদ থেকে সাময়িক প্রত্যাহার আনোয়ার চৌধুরী
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
লন্ডন: ব্রিটিশ শাষিত দ্বীপপুঞ্জ কেইম্যান আইল্যান্ডের গভর্ণর পদ থেকে সাময়িক ভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত গভর্ণর আনোয়ার চৌধুরীকে। তাঁর বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ উত্তাপন হওয়ায় তদন্তের স্বার্থে তাঁকে এই পদ থেকে সাময়িক সময়ের জন্য প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বুধবার কেইম্যান আইল্যান্ডের হেড অব গর্ভমেন্ট প্রেমিয়ার আলদেন ম্যাকলাইন জানিয়েছেন, আনোয়ার চৌধুরীকে ফরেন এন্ড কমনওয়েলথ অফিস লন্ডনে ডেকে পাঠিয়েছে, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি লন্ডনেই অবস্থান করবেন। তবে আনোয়ার চৌধুরীর বিরুদ্ধে কি অভিযোগ উঠেছে এ সম্পর্কে কোন কিছু জানাননি আলদেন ম্যাকলাইন। কেইম্যান আইল্যান্ডের গভর্ণর হিসেবে সদ্য নিয়োগ পাওয়া মি: চৌধুরীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের তদন্ত আগামী ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত চলবে, এমনটি জানিয়ে কেইম্যান আইল্যান্ডের হেড অব গর্ভমেন্ট প্রেমিয়ার আলদেন ম্যাকলাইন বলেন, তদন্তকালীন এই সময়ে ভারপ্রাপ্ত গভর্ণর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বর্তমান ডেপুটিগর্ভনর ফ্রাঞ্জ মেন্ডারসন।

আলদেন ম্যাকলাইনের উদ্বৃতি দিয়ে কেইম্যান থেকে প্রকাশিত নিউজ সার্ভিস জানায়, ব্রিটিশ সরকারের ফরেন অফিস মিনিস্টার লর্ড আহমেদ জানিয়েছেন, উত্তাপিত বেশ কয়েকটি অভিযোগের তদন্তের স্বার্থেই আনোয়ার চৌধুরীকে কেইম্যান আইল্যান্ড থেকে সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফরেন অফিস বিষয়টি পাবলিকলি প্রকাশ করতে চাচ্ছেনা এমনটি ইঙ্গিত দিয়ে এ বিষয়ে আর বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
আনোয়ার চৌধুরীর সাময়িক অব্যাহতির বিষয়টি ডেপুটি গর্ভনর ফ্রাঞ্জ মেন্ডারসনকে অবহিত করা হয়েছে, এমনটি জানিয়ে প্রেমিয়ার ম্যাকলিন বলেন, খবরটি কেইম্যান আইল্যান্ডের স্পিকার, ক্যাবিনেট, বর্তমান সরকার এবং বিরোধী দলকে অবহিত করা হয়েছে। ‘আমরা আশা করছি এই ঘটনা কেইম্যান আইল্যান্ডের সুশাসনের ক্ষেত্রে কোন প্রভাব ফেলবেনা’।
এখানে উল্লেখ্য, চলতি বছরের মার্চে ব্রিটেনের কেইম্যান আইল্যান্ডের গভর্নর হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন বাংলাদেশের সিলেটের সন্তান আনোয়ার চৌধুরী। এর আগে তিনি ঢাকা ও পেরুতে ব্রিটেনের হাই কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন ছাড়াও ব্রিটিশ সরকারের আরও গুরুত্বপূর্ণ উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
ঢাকায় নিযুক্ত সাবেক ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত আনোয়ার চৌধুরী ছিলেন এশিয়ান বংশোদ্ভূত কোনো ব্রিটিশ নাগরিক যিনি প্রথম ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রিত কোনো আইল্যান্ডের প্রধান বা গর্ভনর হিসেবে নিয়োগ পান। প্রশাসনিক কাঠামো অনুযায়ী, গভর্নর এ দ্বীপের প্রধান।