বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হেনেছে আম্পান

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

বাংলাদেশঃ সাইক্লোন আম্পান বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হেনেছে। এটি উপকূল দিয়ে অতিক্রম করা শুরু করেছে। আজ বুধবার বিকেলে ৪টার দিকে সাগর উপকূলের পূর্ব দিকে সুন্দরবন ঘেঁষা পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ দিয়ে অতিক্রম করছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এখন (সন্ধ্যা ৬টায়) পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের অগ্রবর্তী অংশ আঘাত হানতে শুরু করেছে। সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেছেন, ‘আজ বিকাল ৪টা থেকে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের অগ্রভাগ সাতক্ষীরা-সুন্দরবন উপকূলে প্রবেশ করেছে। এটা ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত থাকবে। সাতক্ষীরা শহরে বিকাল ৫টা থেকে ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার বেগে ঝড়োবাতাস বইছে। ৫২ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ভারতে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় আম্পান আঘাত হেনেছে।’ এটি অতিক্রম করতে এটি ৪ ঘণ্টা সময় নেবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

এর আগে আবহাওয়া অধিদফতরের সারাদেশের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, আম্পানের প্রভাবে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও ভারো থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

জানা যায়, উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। তবে মোংলা ও পায়রা বন্দরে আগের মতোই ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সতর্ক সংকেতে আরও বলা হয়, উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

ঘূর্ণিঝড় জনিত জলোচ্ছ্বাসের সতর্কতায় বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় এবং দ্বিতীয় পক্ষের চাঁদের সময়ের শেষ দিনের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে থেকে ১০ থেকে ১৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।ঝড়ো হাওয়ার সতর্কতায় বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম জেলা সমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলতে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘন্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

You might also like