আজমিরিগঞ্জে কালনী-কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বিস্তীর্ণ জনপদ
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ হবিগঞ্জ জেলার আজমিরিগঞ্জ উপজেলায় কালনী-কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বিস্তীর্ণ জনপদ ও ফসলি জমি। বর্ষার শুরুতেই কালনী-কুশিয়ারা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের ৩০/৪০টি বাড়িঘর ইতোমধ্যে ভেঙ্গে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। চলতি বছর বর্ষা মৌসুমে এই ভাঙ্গন আরো ব্যাপক আকার ধারণ করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।হবিগঞ্জের সিনিয়র সাংবাদিক মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল জানান, বিগত কয়েক বছরে কাকাইলছেও ইউনিয়নের বদলপুর, মনিপুর ও বাহাদুরপুর গ্রামের শত শত বাড়িঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ঝুঁকিতে রয়েছে আরও অন্তত শতাধিক পরিবারের বাড়িঘর। এর মাঝে অনেকেই নদীর তীর থেকে বাড়িঘর নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে শুরু করেছেন।
জাহের আলী নামক এক ব্যক্তি ভিটেমাটি ও বাড়িঘর হারিয়ে স্বপরিবারে গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। মনিপুর গ্রামের নুরজাহান বেগম বলেন, ‘তার স্বামী দিনমজুরের কাজ করেন, অপরের কৃষি জমিতে। বর্তমানে নদী যেভাবে বাড়িঘর নিয়ে যাচ্ছে তাতে আমরা কোথায় গিয়ে উঠবো ভাবতে পারছি না’। বাহাদুরপুর গ্রামের ঝর্ণা আক্তার বলেন, ‘নদীভাঙ্গন রোধে সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করলে আমরা ছেলেমেয়ে নিয়ে এখানে থাকতে পারব।’ বদলপুর গ্রামের মঙ্গল সূত্রধর বলেন, ‘নদীভাঙ্গন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।’ মজিদ মিয়া, জয়দর আলী, গোলাপ মিয়া, রাজ্জাক মিয়া, জয়নাল মিয়া, বাদশা মিয়া ও তালেব আলী বলেন, ‘নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে আমরা উৎকন্ঠিত।’ এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও কাকাইলছেও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘নদীভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলে টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ করা হবে।’ এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শাহনেওয়াজ তালুকদার বলেন, ‘কালনী-কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গন সম্পর্কে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলে ভাঙ্গন রোধে জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।