আদালতের এজলাস থেকে আসামি পালানোয় ২ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানা থেকে হত্যা মামলার আসামি পালিয়ে যাবার ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদেরকে জেলা পুলিশ লাইনসে ক্লোজ করা হয়েছে।গত বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হত্যা মামলার আসামি হৃদয় শেখ (২৫) নামে এক যুবক হাতকড়া পরা অবস্থায় থানা থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।তিনি মুকসুদপুর পৌরসভার কমলাপুর গ্রামের মৃত হেমায়েত শেখের ছেলে। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।এ ঘটনায় মুকসুদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীম আল মামুন ও কনস্টেবল মো. মাহফুজকে ক্লোজ করা হয়েছে।মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তফা কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পর বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাত ১০ টায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘটনার সত্যতা প্রকাশ করেন।
২০২৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ মার্চ তারিখের কোনো এক সময় আকাশ মাতুব্বর নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের শিকার আকাশ মাতুব্বর ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার দামদরদি গ্রামের শাহা আলম মাতুব্বরের ছেলে।এ ঘটনায় গত বছরের ৮ মার্চ দায়েরকৃত মামলায় হৃদয় শেখকে ২ নং আসামী করেন বাদী। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারী) দিবাগত রাত পৌনে ১১ টার দিকে হৃদয় শেখকে গ্রেপ্তার করে মুকসুদপুর থানা পুলিশ। পরে তাকে থানা হাজতে রাখা হয়। সেখান থেকে সে সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে পালিয়ে যায়।
নিহত আকাশ মাতুব্বরের বাবা ও মামলার বাদী শাহ আলম মাতুব্বর বলেন, আমার ছেলেকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে রাখে হত্যাকারীরা। গত ৭ মার্চ মুকসুদপুর উপজেলার মাহারাজপুর ইউনিয়নের দুয়ারিডাঙ্গা গ্রামের একটি পুকুরের কচুরিপানার নীচ থেকে আমার ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পলাতক হৃদয় এ হত্যা মামলার ২ নং আসামী। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আমি গত রাতে (৭ মার্চ) হৃদয়ের খোঁজ নিয়ে পুলিশকে জানালে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। সকালে থানা থেকে কি করে আসামি পালায়।মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তফা কামাল বলেন, আকাশ মাতুব্বর হত্যা মামলায় হৃদয় শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিন্তু সকালে থানা থেকে সে পালিয়ে গেছে। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।তিনি আরও জানান, আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করে জেলা পুলিশ লাইনস্ এ ক্লোজ করা হয়েছে।পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, কাশিয়ানী ও মুকসুদপুর উপজেলার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামানকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা উদঘটন করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।