আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মালিকানা জায়গায় গৃহ নির্মাণ বন্ধে সংবাদ সম্মেলন

শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী

সুনামগঞ্জ থেকেঃ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সুনামগঞ্জের দক্ষিন সুনামগঞ্জ উপজেলার বশিরপুর মৌজায় মালিকানা জায়গায় উপজেলা প্রশাসন গৃহ নির্মাণ করছেন এমন অভিযোগ সংবাদ সম্মেলন করছেন জায়গার মালিকপক্ষ।বৃৃহস্পতিবার সকালে সুনামগঞ্জ শহরের উকিলপাড়াস্থ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন এবং ঘর নির্মাণে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও বেআইনিভাবে চালিয়ে যাওয়া গৃহ নির্মাণ কাজ বন্ধের দাবি করেছেন ভূমি মালিকদের পক্ষে জেলার ছাতক উপজেলার গণিপুর গ্রামের মৃত কাজী রাজা মিয়ার ছেলে কাজী আনছার মিয়া।

লিখিত বক্তব্যে তিনি ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে বিভাগীয় কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবি জানিয়ে বলেন, তাদের মালিকানা জায়গা প্রশাসন স্বীকার করলে প্রয়োজনে তারা সরকারকে ঘর নির্মাণের জন্য জায়গা দান করতে ইচ্ছুক। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ না নিলে আদালত অবমাননার মামলা করার কথাও জানান কাজী আনছার মিয়া।বক্তব্যে বলা হয় গণিপুর গ্রামের পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ সুনামগঞ্জের বশিরপুর মৌজার জেএল নং-২২৬, এসএ খতিয়ান নং-০১ ও ২২ নং দাগে ১৫৬.৯০ একর বোরো, আউশ, আমন ও আংশিক বাড়ি রকম ভূমির মালিক তারা। গৌরি চরণ দাস তালুকের অন্তর্গত মোহাম্মদ হাতিম, মোহাম্মদ তারিক, মোহাম্মদ মনিয়র, মোহাম্মদ ফাজিল, মোহাম্মদ কাদির, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, ফজর বিবি, মোহাম্মদ আজিম, মোহাম্মদ আলীম, কলিম, মোহাম্মদ ইলাই বক্স, মোহাম্মদ আঃ রহিম, মোহাম্মদ আঃ রশিদ গং। এরমধ্যে ২২ নং দাগের ১৫৬.৯০ একর ভূমিতে সরকার গৃহ নির্মাণ করা শুরু হয়েছে।

শতবছর ধরে তা ভোগ দখল করে আসছেন তারা। এসব ভূমি ১৯৫২ সালের এসএ রেকর্ডে ভুলক্রমে সরকারি খতিয়ানভূক্ত হয়। রেকর্ড সংশোধনের জন্য ১৩৮ জন উত্তরাধীকারের পক্ষে ২০০১ সালে সুনামগঞ্জ যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে স্বত্ব মামলা (নং-০৫/২০০১) দায়ের করেন । পরবর্তীতে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন যার নং ৩৮১/২০০৭ইং। দীর্ঘদিন পর শুনানী শেষে ২০১৯ সালের ২২ মে আপিলের রায় প্রদান করা হয়। রায়ে উল্লেখ করা হয়, বিবাদী অর্থাৎ জেলাপ্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার(ভুমি) ও ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা গনের সেই জায়গায় কোনো স্বত্ব নেই ও ছিল না। উচ্চ আদালতের রায়ের পর সরকারের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে লীভ টু আপিল করা হয়েছে। যার পরবর্তী শুনানী আগামী ডিসেম্বরে হওয়ার কথা রয়েছে। মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা আদালত অবমাননার শামিল বটে। সংবাদ সম্মেলনে ভূমি মালিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কাজী আকলু মিয়া. কাজী মিছলু হোসেন, কাজী তকলিছ মিয়া, কাজী জহুর আলী,কাজী সুরত আলী, কাজী মতছির মিয়া, কাজী লিলু মিয়া প্রমুখ।

You might also like