আদিবাসীদের উপর জুলুম অত্যাচার বন্ধ ও পার্বত্য অঞ্চলের শায়ত্ব শাসনের দাবিতে লন্ডনে প্রতিবাদ সমাবেশ

মতিয়ার চৌধুরী
সত্যবাণী

লন্ডনঃ বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী সম্প্রদায়ের উপর আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও বাঙ্গালী সেটেলারদের জুলুম অত্যাচার বন্ধ এবং পার্বত্য অঞ্চলের শায়ত্ব শাসন এবং শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে-লন্ডনে বসবাসরত বাংলাদেশের আদিবাসি সম্প্রদায় ‘‘জুম্মা পিপলস নেট ওয়ার্কের‘‘ ব্যানারে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অফিস দশ নাম্বার ডাউনিং ষ্ট্রীটের সামনে সমাবেশ করেছে।২৮সেপ্টেম্বর শনিবার ২০২৪ লন্ডন সময় দুপুর দুই ঘটিকায় ব্রিটেনের বিভিন্ন প্রান্থ থেকে সমাবেশে অংশ নেয় শতাধিক আদিবাসী নারী-পুরুষ ও শিশু। ঘণ্টা ব্যাপী সমাবেশে বক্তারা বলেন ১৯৭৯ সালের পর থেকে আদিবাসীরা বাঙ্গালী সেটেলার ও আইনশৃঙ্লা বাহিনীর দ্বারা ক্রমাগত ভাবে অত্যাচিারিত হয়ে আসছে। বাংলাদেরশর কোন সরকারই আদিবাসীদের মঙ্গল চায়নি। বিশেষ করে ইদানিং অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে গেছে কয়েকজুন। গেল জুন মাস থেকে এযাবত পার্বত্য চট্টগ্রামে ৫০০ টিরও বেশি আদিবাসিদের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ থেকে বাংলাদেশ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে বাঙ্গালী সেটেলারদের দ্বারা পার্বত্য চট্টগ্রামে (সিএইচটি) আদিবাসী সম্প্রদায় এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়ী ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্টানে লুটপাট অব্যাহত রয়েছে। সেটেলার বাঙ্গালীদের হামলায় জুনান চাকমা, ৭০ বছর বয়সী ধন রঞ্জন চাকমা, রুবেল ত্রিপুরা এবং লেনিন চাকমা সহ অন্তত নয়জন নিরীহ আদিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। খাগড়াছড়ি হাসপাতালে অজ্ঞাত আরও পাঁচজনের মরদেহ রয়েছে। এসব মৃত্যুর পাশাপাশি দীঘিনালা সদরে শতাধিক বাড়িঘর ও দোকানপাট পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং সহিংসতায় শতাধিক আদিবাসী নারী পুরুষ আহত হয়। ক্রমবর্ধমান সহিংসতার মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে আরো শতাধিক বাড়ীঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আদিবাসীদের উপর হামলা অব্যাহত রয়েছে।সমাবেশ শেষে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরাবরে একটি স্মারক লিপি প্রদান করা হয়। স্মারক লিপিতে আদিবাসীদের জানমাল রক্ষায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। প্রিয়ন্তি চাকমার সঞ্চালনায় অুনুষ্টিত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুব্রত চাকমা, অভি বড়ুয়া, পবন বড়ুয়া, লাল আমলাই ও আশু চাকমা প্রমুখ।

You might also like