আপনজনদের জীবনকে হুমকির মুখে ঠেলে দেবেন না: প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনে গ্রামের বাড়ি যেতে ছুটাছুটি না করতে দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন। এতে আপনজনের জীবনই হুমকির মুখে পড়বে।তিনি পাশবর্তী দেশে পাওয়া ভাইরাসের ধরণ থেকে নিজেদেরকে নিরাপদ রাখতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারও পরামর্শ দেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা ঈদে কোথাও না গিয়ে নিজের ঘরে থাকলে কি ক্ষতি হয়? আপনারা ছুটাছুটি না করে যে যেখানে আছেন সেখানেই থাকেন। সেখানেই নিজের মত করে ঈদ উদযাপন করুন।’

তিনি বলেন, ‘আমি জানি ঈদের সময় মানুষ পাগল হয়ে গ্রামে ছুটছেন। কিন্তু আপনারা যে একসঙ্গে যাচ্ছেন, এই চলার পথে ফেরি বা গাড়ি যেখানে হোক কার যে করোনাভাইরাস আছে আপনি জানেননা। কিন্তু আপনি সেটা বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন আপনার পরিবারের কাছে। মা-বাবা. দাদা-দাদি যেই থাকুক আপনি তাকেও সংক্রমিত করবেন এবং তাদের জীবনকেও মৃত্যু ঝুঁকিতে ফেলে দেবেন।’প্রধানমন্ত্রী আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) পূর্বাচল নিউ টাউন প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্থ ১ হাজার ৪৪০ মূল বাসিন্দা ও সাধারণ মানুষকে প্লট বরাদ্দ পত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে ভাষণে একথা বলেন।তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা একটু ধৈর্য্য ধরেন এবং সাথে সাথে নিজের ও পরিবারের ভাল চিন্তা করেন।’শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাসের সময় আপনারা মাস্ক পরে সাবধানে থাকবেন। কারণ নতুন ভাইরাস এসেছে। এটা আরো বেশি ক্ষতিকারক। যাকে ধরে তার সাথে সাথে মৃত্যু হয়। সেজন্য আপনি নিজে সুরক্ষিত থাকেন, অপরকে সুরক্ষা দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন রমজান মাস আমরা রোযা রাখছি। রাব্বুল আলামিনের কাছে দোয়া করেন, এই করোনাভাইরাস থেকে যেন আমাদের দেশ ও মানুষ মুক্তি পায়, আর যেন প্রাণহানি না হয়। কারণ আপনারা দেখেছেন শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বব্যাপী আজ করোনায় কত মানুষ মারা যাচ্ছে।তিনি বলেন, আমাদের প্রতিবেশি দেশে প্রতিনিয়ত মারা যাচ্ছে। এই প্রতিবেশি দেশে যখন হয় তখন স্বাভাবিকভাবে আমাদের দেশে আসার সম্ভাবনা থাকে। সেজন্য আগে থেকেই আমাদের নিজেদের সুরক্ষিত থাকতে হবে এবং সেভাবে চলতে হবে, যাতে সবাই এই করোনাভাইরাস থেকে বেঁচে থাকতে পারে।গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরিফ আহমেদ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সচিব শহীদ উল্লাহ খন্দকার এবং রাজউক চেয়ারম্যান এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড.আহমদ কায়কাউস গণভবন থেকে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরিফ আহমেদ প্লটের বরাদ্দপত্র গ্রহিতাদের থাতে তুলে দেন। এই প্রকল্পের ওপর অনুষ্ঠানে একটি ভিডিও চিত্রও প্রদর্শিত হয়।

You might also like