‘আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো..’ : বাঙালীর প্রাণের উচ্চারণ আজ বিশ্বাঙ্গনে
ডক্টর আনিছুর রহমান আনিছ
মানুষের হৃদয়ের একান্ত অনুভুতি ও মনের ভাব অন্যের নিকট ব্যক্ত করার উপলদ্বি থেকেই ভাষার প্রকাশ।আর তাই ভাষা মানব জাতির শ্রেষ্ঠ আবিস্কার হিসেবে সর্বজন স্বীকৃত।মায়ের কোলে জন্মের পর থেকে মানুষ যে ভাষায় প্রথম কথা বলে ও মনের ভাব প্রকাশ করতে শেখে এবং যে ভাষাজাত সাংস্কৃতিক আবহে সে বড় হয়ে উঠে তাই তাঁর মাতৃভাষা।আর প্রত্যেক ভাষার মত বাংলা ভাষারও রয়েছে একটি নিজস্বতা,ঐতিহ্য এবং সে ঐতিহ্য অপরাপর সকল ভাষাকে পেছনে ফেলে পৌঁছে গেছে বিশ্ব মানের পর্যায়ে,অপার ত্যাগ আর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাঙ্গালীর ভাষা দিবস আজ বিশ্ব অঙ্গনে।মহান ২১ ফেব্রুয়ারির রক্তস্নান গৌরবের সুর বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে আজ বিশ্বের ১৯৩টি দেশের মানুষের প্রাণে অনুরণিত হচ্ছে।
রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১৯৫২ সালের এই দিনে বাঙালির রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল রাজপথ; ওই রক্তের দামে এসেছিল বাংলার স্বীকৃতি আর তার সিঁড়ি বেয়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। বাঙ্গালীর ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলা ভাষা আজ বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত। বাঙালির এই আত্মত্যাগের দিন এখন কেবল আর বাংলার নয়, বিশ্বের প্রতিটি মানুষের মায়ের ভাষার অধিকার রক্ষার দিন।রাষ্ট্রীয় সীমানা ছাড়িয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী বাঙ্গালী জাতি বুকের তাজা রক্ত দিয়ে মায়ের ভাষার অধিকার ফিরে পেয়েছিল।আর সেই পথ বেয়ে ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বাঙ্গালীর ভাষা- সাহিত্য- সংস্কৃতির প্রতীক বাংলা একাডেমী।এর প্রায় ৫০ বছর পর ১৯৯৯ সালের ১৭ই নভেম্বর বাঙ্গালির ভাষার জন্য ত্যাগ আর অহংকারের বিশ্ব স্বীকৃতি মিলল ইউনেস্কোর একুশে ফেব্রুয়ারীকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণার মধ্য দিয়ে । ২০০০ সাল থেকে সারা বিশ্বে এ দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরসহ বিদেশে বাংলাদেশের সব মিশনেই বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এই দিনে। প্রবাসীরাও বিদেশের মাটিতে শহীদ মিনার গড়ে শ্রদ্ধা
জানাচ্ছেন ভাষা শহীদদের প্রতি। ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে সাধারণ ছুটি। ভাষা শহীদদের স্মরণে এদিন জাতীয় পতাকা রাখা হয়েছে অর্ধনমিত। ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেন। মুলত পাকিস্তান রাস্ট্রের জন্মের পর থেকেই পূর্ব পাকিস্তানের জনগনের প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানী শাসক চক্রের নানাবিধ বৈষম্যমুলক আচরন এবং তাদেরকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার প্রতিবাদে প্রথম থেকেই ফুঁসকে উঠতে শুরু করে আজীবন সংগ্রামী পূর্ব বাংলার জনগন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখে বাঙ্গালী জাতি এবং ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বিপুল ভোট দিয়ে যুক্তফ্রন্ট কে নির্বাচিত করে পশ্চিম পাকিস্তানী শাসক চক্রকে দাতভাঙ্গা জবাব দেয় যা পরবর্তীতে বাঙ্গালীর শত বছরের লালিত স্বাধিকারের পথ উন্মোচন করে।
‘‘১৯৪৭ সালে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তানিরা বাঙালিদের সঙ্গে বিমাতাসুলভ আচরণ শুরু করে। অর্থনৈতিক শোষণ ছাড়াও তারা আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির উপর আঘাত হানে।সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের মাতৃভাষা বাংলাকে বাদ দিয়ে উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার উদ্যোগ নেয়।
পাকিস্তানিদের এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম রুখে দাঁড়ান। তাঁর নেতৃত্বে শুরু হয় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের সংগ্রাম। বাঙালিদের উপর নেমে আসে অত্যাচার এবং নির্যাতন। ৫২’র ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ৬-দফা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান এবং ৭০’র সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ের পথ ধরে বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম এক যৌক্তিক পরিণতির দিকে ধাবিত হয়।১৯৪৭ থেকে ১৯৪৮, এরপর ১৯৫০ অবশেষে ১৯৫২, একের পর এক পাকিস্থান সরকারের বাংলা বিরোধী পদক্ষেপ রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবীতে তীব্র আন্দোলন শুরু করে ছাত্রসমাজ, শিক্ষক, লেখক, সাংবাদিক, পেশাজীবিসহ সকল সাধারন মানুষ । ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ভাষার দাবীতে সচিবালয়ের সামনে আন্দোলনরত তৎকালীন ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমান সহ ৭৫ জন আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্থান সরকার। সারাদেশব্যাপী আন্দোলনের তীব্রতার মুখে ১৫ই মার্চ সকল বন্দিদের মুক্তি দিতে বাধ্য হয় সরকার।
’৪৮ সালে উর্দু পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হবে এ উচ্চারণের পর পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালি জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বুদ্ধিজীবীসহ, লেখক-কবি সবার স্বপ্নভঙ্গ হয়। ’৪৮ সালে প্রথম ভাষা-আন্দোলন হয় এবং পরে ১৯৫২ সালে সেটা ব্যাপক আকারে হলে ২১ ফেব্রুয়ারিতে বরকত, সালাম, রফিক, জব্বার ও শফি পুলিশের গুলিতে শহীদ হন, এবং এটি একটি স্থায়ী রাজনৈতিক সত্য হিসেবে দাঁড়িয়ে যায় যে ভাষার স্বাধিকার অধিকারের দাবিটি নিছক সাংস্কৃতিক একটি আন্দোলন ছিল না, বরঞ্চ পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধিকারের দাবি ছিল।২১ ফেব্রুয়ারি একটি স্বতঃস্ফ‚র্ত আন্দোলনের বিকাশকাল হলেও এর যাত্রা সেই পাকিস্তান রাষ্ট্রের যাত্রার শুরু থেকে এবং তাৎক্ষণিক প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে স্ফুলিঙ্গের প্রজ¦লন ঘটলেও পরবর্তীতে তা দাবানলের সৃষ্টি করেছিল। সংখ্যাগরিষ্ঠের ভাষার অধিকার থেকে তা রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে নতুন ধারায় সাজানোর অঙ্গীকারে রূপান্তরিত হয় এবং বাঙালির আত্মপরিচয়ের
আকাক্ষা তীব্র হয়। এই আন্দোলন ধারাটি আকস্মিক ছাত্রসমাজের মধ্য দিয়ে প্রজ¦লিত হলেও ধীরে ধীরে তা ব্যাপক জনগণের বোধ-বুদ্ধিতে প্রথিত হয় এবং প্রখর চেতনার অনুষঙ্গ হয়ে ওঠে। এর মধ্য দিয়ে নতুন রাজনৈতিক চৈতন্যে নতুন উদ্দীপনার সৃষ্টি করে।
জনগণের চাহিদাকে শাসক অস্বীকার করলেও জনমানস থেকে তা তারা বিতাড়িত করতে পারেনি। এর ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলের মানে পূর্বপাকিস্তানের মানুষের ভেতরে নতুন রাজনৈতিক চেতনার বিকাশ ঘটে এবং নানা প্রজ¦লনের মধ্য দিয়ে তৎকালীন শাসকগোষ্ঠীর মূল চরিত্রটি জনগণের কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠতে থাকে। রাজনৈতিক এই সচেতনতা ক্রমে ক্রমে একটি জাতির জাতীয় চেতনায় রূপলাভ করতে থাকে। ‘বাঙালি এবং বাংলা’ এই চেতনা জাতীয় চেতনার রূপলাভ বাংলা যে তার মাতৃভাষা আর তাকে বাঁচিয়ে রাখতে না পারলে সে যে চিরতরে অধীন হয়ে যাবে হারাবে নিজস্বতা তা উপলব্ধিতে আসে এবং একে পাহারা দেয়া যে জাতীয় কাজ এই কথাটি গ্রামবাংলা থেকে শহর, সাধারণ মানুষ থেকে রাজনীতিবিদ সবার মধ্যেই জাগ্রত হয়। এর বিরুদ্ধে যে কেউ কোনো কথা বললে তার প্রতিরোধ প্রায় সাধারণ মানুষ থেকেই উঠে আসতে শুরু করে। ধারাবাহিকতায় ৫২ ভাষা সংগ্রামীদের ওপর নগ্ন হামলা, জীবন হরণ এই আন্দোলনকে জাতির বুকে আপন সৌধের মতোই প্রথিত করে। মহান শহীদরা হয়ে ওঠেন জাতির গৌরব এবং সব আন্দোলনের, ক্ষোভ ও বিক্ষোভ প্রদর্শনের এক পবিত্র স্মৃতির মিনার। পরবর্তী ৬ দফা বা ছাত্র সমাজের ১১ দফা, ৬৮-৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান এবং ৭১ এর স্বাধীনতা সংগ্রামে জনগণের একটা স্বপ্ন নির্মাণ করে দেয়। নতুন জাগরণ আর কারো অপেক্ষায় বসে থাকেনি। স্বার্থবাদী মহল বা কখনো কখনো কোনো কোনো রাজনীতিবিদরা নানাভাবে এই আন্দোলনের ধারাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলেও এর গতি তারা রুদ্ধ করতে পারেনি। জনগণকে চোরাগলির মধ্যে নিক্ষেপ করে একুশের চেতনাকে ভোঁতাও করা যায়নি। যা ছিল বিচ্ছিন্ন ছাত্রদের মধ্য থেকে উত্থিত তা যেমন হয়ে গেল বৃহত্তর জনজীবনের আকাক্সক্ষায় রাঙা এক নতুন অভ্যুদয়, প্রতিবাদও হয়ে উঠল সবার। আর ধীরে ধীরে এর রূপ ছড়িয়ে পড়ল গণমানুষের মধ্যে। যারা প্রাণ দিলেন তারা হতে পারলেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। বাঙ্গালীর মত মায়ের ভাষা রক্ষার জন্য পৃথিবীতে আর কোন জাতি জীবন বিসর্জন দেয়নি।
বিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভে ১৯১১ সালে রংপুরে অনুষ্ঠিত মুসলিম প্রাদেশিক শিক্ষা সম্মেলনে নবাব এস আলী চৌধুরী বাংলা ভাষাকে আমাদের মাতৃভাষা হিসেবে গুরুত্বারুপ করে বক্তব্য দেন। তিনিই ১৯২১ সালে ব্রিটিশ সরকারের কাছে লিখিত এক প্রস্তাবে বলেন, “ ভারতের রাষ্ট্রভাষা যাই হউক না কেন, একমাত্র বাংলা ভাষাকেই বাংলার রাষ্ট্রভাষা করতে হবে’। মুলত তাঁর ব্যাপক প্রচারে বাঙ্গালী হৃদয়ে মাতৃভাষা বাংলার প্রতি বাংলার জনগনের সচেনতনতা বৃদ্ধি পায়, যার ফলশ্রুতিতেই ঊনিশ শতকের গোঁড়ার দিকে বাংলা ভাষায় স্কুলের পাঠ্য পুস্তক রচিত হয় এবং ১৯৪০ সালের পর থেকে বাংলা ভাষা স্কুলসমুহে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে চালু হয়।১৯৪৬ সালে বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগ সম্পাদক আবুল হাশিম প্রাদেশিক কাউন্সিলের কাছে পেশকৃত খসড়া ম্যানিফেস্টোতে বাংলাকে পূর্ব বাংলার রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব করেন। ১৯৪৭ সালের ৩০ জুন দৈনিক আজাদ প্রত্রিকায় পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা প্রবন্ধে আব্দুল হক বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে অভিমত প্রকাশ করেন।
১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারী করাচীতে গন পরিষদের প্রথম অধিবেশনে পূর্ব বাংলার প্রতিনিধি ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত সর্ব প্রথম বাংলাকে পাকিস্থানের রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব করেন। ২৫ ফেব্রুয়ারী ভাষা বিষয়ক এক আলোচনায় পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী বাংলা ভাষাকে পাকিস্থানের রাষ্ট্রভাষা করার বিষয়ে অসম্মতি প্রকাশ করেন।
১৯৪৮ সালের ১৮ নভেম্বর পাকিস্তানের পথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি খান পূর্ব পাকিস্তান সফরে আসেন। ২৭ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে তিনি এক ছাত্রসভায় ভাষণ দেন। ঐ সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র ইউনিয়নের তরফ থেকে প্রদত্ত মানপত্রে বাংলা ভাষার দাবি পুনরায় উত্থাপন করা হয়, কিন্তু তিনি কোনোরূপ মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন। ১৭ নভেম্বর তারিখে আতাউর রহমান খানের সভাপ্রতিত্বে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদের এক সভায় আজিজ আহমদ, আবুল কাশেম, শেখ মুজিবুর রহমান, কামরুদ্দীন আহমদ, আবদুল মান্নান, তাজউদ্দিন আহমদ প্রমুখ একটি স্মারকলিপি প্রণয়ন করেন এবং সেটি প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি খানের কাছে পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রী এক্ষেত্রেও কোনো সাড়া দেননি।দীর্ঘ আন্দোলনের সফল ধারাবাহিকতায় আজীবন সংগ্রামী বাঙালি তাঁদের রক্তের বিনিময়ে তাদের ন্যায্য দাবী আদায় করে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী। যার ফলশ্রুতিতে ১৯৫৬ সালে পাকিস্থান সরকার বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষার স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়।বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে একুশের প্রথম প্রহরে ফুলেল শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণের এই পালায় নামে মানুষের ঢল। কোথাও কোথাও প্রভাতফেরির মাধ্যমে একুশের গানে গানে স্মরণ করা হয় ভাষা শহিদদের।বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আসা সর্বস্তরের মানুষে সারি আরও দীর্ঘ হয়। দীর্ঘ লাইনে ফুল আর ছোট ছোট পতাকা হাতে লাইন বেঁধে অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায় সব বয়সের, সব শ্রেণি পেশার মানুষকে। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাদের সন্তানদের নিয়ে শহীদ মিনারে ছুটে যান ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। এ বছর বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরকারী বিধিমালা অনুসরণ করে এবং অনেক ক্ষেত্রে ভার্চুয়াল আয়োজনে মহান ভাষা দিবস পালনের উদ্যুগ প্রশংসার দাবী রাখে। শ্রদ্ধায়, ভালবাসায় বাঙ্গালীর ত্যাগের একুশ আজ বিশ্ব অঙ্গনে।