ইউকে ওয়েলস যুবলীগের উদ্যোগে কাডিফে জাতীয় শোক দিবস পালিত

বদরুল মনসুর
সত্যবাণী

লন্ডনঃ যুক্তরাজ্য ওয়েলস যুবলীগের উদ্যোগে হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গত সোমবার কাডিফের মায়া রেষ্টুরেন্টে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
ওয়েলস যুবলীগের সভাপতি, তাজপুর ডিগ্রী কলেজের সাবেক ভিপি সেলিম আহমদ এর সভাপতিত্বে এবং ওয়েলস যুবলীগের সাধারন সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা মফিকুল ইসলাম এর পরিচালনায় অনুষ্টিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদের সদস্য ৭১ এর প্রবাসী মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ওয়েলস আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, জননেতা মোহাম্মদ ফিরোজ আহমদ,
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ওয়েলস আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক, সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল মালিক,বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী

লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ওয়েলস আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি প্রাক্তন ছাত্রনেতা মোহাম্মদ মকিস মনসুর, ওয়েলস আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক গোলাম মর্তুজা, ওয়েলস কৃষকলীগের সভাপতি শেখ মোঃ আনোয়ার,ওয়েলস বঙ্গবন্ধু পরিষদ এর সভাপতি আলহাজ্ব ছালিক মিয়া, ও পতুগাল আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ফরহাদ মিয়া,
সভার শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন সেলিম চৌধুরী,সভায় অন্যান্যদের বক্তব্য রাখেন ওয়েলস যুবলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আবুল কালাম মুমিন, ওয়েলস যুবলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক এ বি রুনেল, যুবনেতা মোহাম্মদ মুজিব, কামাল আহমদ, শেখ সুমন তরফদার, দোলন শিকদার,ফরহাদ মিয়া, মৌলা মিয়া, নজির মিয়া, বাবলু মিয়া, ফেরদৌস মিয়া, মাসুম মিয়া,সাজু মিয়া ও আউয়াল মিয়া সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদের সদস্য ওয়েলস আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, জননেতা মোহাম্মদ ফিরোজ আহমদ বলেন ৭৫ এর ১৫ ই আগস্টের হত্যাকাণ্ড শুধুমাত্র একজন রাষ্ট্র প্রধানকে হত্যা বা কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ছিল না, এটা ছিল সংগ্রাম ও ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রকে হত্যা করার একটি ষড়যন্ত্র। দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের পর মানণীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিগত সরকারের আমলে হত্যাকাণ্ডের বিচার করার

মাধ্যমেবঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছিল সেই হত্যাকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করালেও হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য নায়কদের বিচার করা হয়নি। জাতিকে পুরাপুরি কলঙ্কমুক্ত করতে হলে এই ষড়যন্ত্রকারীদের নেপথ্য নায়কদের মুখোশ উন্মোচন করা সবচেয়ে জরুরি।জননেতা মোহাম্মদ ফিরোজ আর ও বলেন ’৭৫ সালে আমরা সরকারে ছিলাম।তখন প্রশাসন ছিল,সেনাবাহিনী ছিল,কিন্তু ১৫ আগস্ট কী দেখলাম, তারা যে কারণেই হোক খুনীদের সহযোগী হয়ে গিয়েছিল।তারা বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করে নি।তারা গণতন্ত্র সমাজন্ত্র ধর্মনিরপেক্ষতার দর্শন ধ্বংসের ষড়যন্ত্রের অংশ হয়ে গিয়েছিল।তাদের অপরাধের শাস্তি বিধান করা উচিত।তিনি বলেন, সেরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে আর না হয় সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে।আজ আমাদের শপথের দিন,ঘুরে দাঁড়াবার দিন বলে উল্লেখ করে তিনি প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন।

You might also like