ইউরোপের আকাশে রুশ বিমান নিষিদ্ধ

আন্তজার্তিক ডেস্ক
সত্যবাণী

ইউরোপ: ইউরোপের পূর্বাঞ্চলীয় দেশ ইউক্রেনে রাশিয়ার সর্বাত্মক সামরিক অভিযান চলছে। মস্কোর এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একে একে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যাচ্ছে পশ্চিমা রাষ্ট্ররা। সর্বশেষ রাশিয়ার যাত্রীবাহী ও যুদ্ধবিমানগুলোর জন্য ইউরোপের আকাশপথ বন্ধ ঘোষণা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইউরোপীয়ান কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েন রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঘোষণাটি দেন।সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ তথ্যটি জানিয়েছে। অবশ্য ব্যক্তিগতভাবেও ইউরোপের অনেক দেশ এরই মধ্যে রাশিয়ার ফ্লাইটগুলোর জন্য নিজের আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করেছে।

রবিবার ইউরোপীয়ান কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেছিলেন, রাশিয়ার মালিকানাধীন, রুশ নিবদ্ধনকৃত অথবা রুশ নিয়ন্ত্রিত বিমানগুলোর জন্য আমরা ইইউয়ের আকাশসীমা বন্ধ করে দিচ্ছি। এর ফলে রুশ নাগরিকদের ব্যক্তিগত বিমানসহ রাশিয়ার কোনো বিমান ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোতে অবতরণ, উড্ডয়ন বা আকাশসীমার ভেতর দিয়ে ভ্রমণ করতে পারবে না।ইইউর এই ঘোষণাটির আগেই অবশ্য নিজ আকাশসীমা থেকে রুশ বিমান নিষিদ্ধ করেছে ব্রিটেন। পৃথকভাবে একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইতালি, জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন ও পর্তুগালের মতো ইউরোপের অনেক রাষ্ট্রই। জার্মানি অবশ্য তিন মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞাটি দিয়েছে।এ দিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) এই ঘোষণার পর পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় বিমান সংস্থা অ্যারোফ্লট। এয়ারলাইন্সটি জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ইউরোপের সকল গন্তব্যে ফ্লাইট বাতিল করছে তারা।

এছাড়া আপাতত আগামী ১৩ মার্চ পর্যন্ত ইউরোপের বহু গন্তব্যে ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে আরেক রুশ বিমান সংস্থা এস-৭ এয়ারলাইন্স।গেল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ভোর রাতে ইউক্রেনে ঢুকে আক্রমণ শুরু করে রাশিয়ান সেনাবাহিনী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে এটিকে অন্যতম বড় হামলার ঘটনা হিসেবে বলা হচ্ছে। ইউএনএইচসিআর বলছে, ইউক্রেনে আনুমানিক এক লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ ইতোমধ্যে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়েছে। পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে ৫০ লাখ পর্যন্ত মানুষ ইউক্রেনে ঘরছাড়া হতে পারে বলে আশঙ্কা সংস্থাটির।উল্লেখ্য, রুশ সৈন্যদের হামলার মুখে পিছিয়ে নেই ইউক্রেনও। তীব্র আক্রমণের মুখে সক্ষমতা অনুযায়ী পাল্টা প্রতিরোধের চেষ্টাও করছে তারা।

You might also like