ইথিওপিয়ায় আশ্রয় শিবিরে বিমান হামলায় নিহত ৫৬
আন্তজার্তিক ডেস্ক
সত্যবাণী
ইথিওপিয়া: আফ্রিকার পূর্বাঞ্চলীয় দেশ ইথিওপিয়ার টাইগ্রে অঞ্চলে বাস্তুচ্যুত লোকজনের একটি আশ্রয় শিবিরে ভয়াবহ বিমান হামলায় শিশুসহ অন্তত ৫৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। শনিবার (৮ জানুয়ারি) স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে ত্রাণ সংস্থার দুই কর্মী গণমাধ্যমকে তথ্যটি জানিয়েছেন।রবিবার (৯ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় টাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) মুখপাত্র গেটাচেউ রেডাও টুইট বার্তার মাধ্যমে জানিয়েছেন, তারা কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে যুদ্ধ করছেন। প্রধানমন্ত্রী আবে আহমেদের নির্দেশে বাস্তুচ্যুত লোকজনের আশ্রয় শিবিরে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। আর ৫৬ নিরীহ মানুষের প্রাণ গেছে বলে দাবি তার।শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) মধ্যরাতে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর দেদেবিটে হামলাটি চালানো হয় বলে জানা গেছে। ইরিত্রিয়ার সীমান্ত লাগোয়া শহর এটি।
ওই দুই ত্রাণ কর্মী পরিচয় গোপন রাখার শর্তে অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নিহতের সংখ্যাটি নিশ্চিত করেছে। তারা হাসপাতালে ভর্তি থাকা আহতদের ছবি তুলে একটি গণমাধ্যমকে পাঠিয়েছেন। ছবিতে আহতদের মধ্যে বহু শিশুও রয়েছে।বিষয়টি নিয়ে ইথিওপিয়ার সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল গেটনেট আদানে ও সরকারের মুখপাত্র লেগেসে টুলু তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি। প্রধানমন্ত্রী আবে আহমেদের নারী মুখপাত্র বিলেন সেয়ুমও মন্তব্য করার অনুরোধে কোনো সাড়া দেননি।
টাইগ্রের বিদ্রোহীদের সঙ্গে ১৪ মাস যাবত চলা সংঘর্ষে বেসামরিক লোকদের লক্ষ্য করে আক্রমণ চালানোর কথা আগেও অস্বীকার করেছিল ইথিওপিয়ান সরকার।এর আগে শুক্রবার দেশটির সরকার বেশ কয়েকজন বিরোধী নেতাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয় এবং বলা হয় যে রাজনৈতিক বিরোধীদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করবে সরকার।ইথিওপিয়ার এই অঞ্চলটি টাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) নিয়ন্ত্রণে ছিল। ১৯৯১ সালে টিপিএলএফের নেতৃত্বে ইথিওপিয়া থেকে সামরিক সরকার উৎখাত করা হয়। এরপর শান্তিতে নোবেল বিজয়ী আবি আহমেদ ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগ পর্যন্ত দেশটির রাজনীতিতে নিয়ন্ত্রণ ছিল এই গোষ্ঠীর হাতে।সূত্র : রয়টার্স, আল-জাজিরা