সাংবাদিকের সাথে কাস্টমস কর্মকর্তার দুর্ব্যবহারে ইমজার কঠোর নিন্দা
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ সিলেটে পাথর আমদানিকারক ব্যবসায়ীদের একটি সমঝোতা বৈঠকে সাংবাদিকের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটর অতিরিক্ত কমিশনার মুহাম্মদ রাশেদুল আলম। বিসিএস ২১ ব্যাচের এই কর্মকর্তার এমন আচরণে হতভম্ব হয়ে যান উপস্থিত ব্যবসায়ীরাও।সিলেটে কাস্টমস ডিউটি ও আমদানি শুল্ক বাড়ানোর প্রতিবাদে গত কয়েকদিন যাবত সিলেট বিভাগের সকল স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ রেখেছিলেন আমদানিকারকরা। এ বিষয়ে ২০ আগস্ট রোববার নগরির মেন্দিবাগে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট অফিসে ব্যবসায়ীদের সাথে এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়।মিমাংসা বৈঠকের খবর পেয়ে টেলিভিশন চ্যানেল যমুনা টিভির রিপোর্টার নাবিল হোসাইন ও ক্যামেরা পারসন শাহীন আহমদ সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে চরম দুর্ব্যবহারের শিকার হন। সাংবাদিক দেখেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন অতিরিক্ত কমিশনার মুহাম্মদ রাশেদুল আলম।
সাংবাদিক নাবিল জানান, বৈঠকের নির্ধারিত সময়ে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ আসলেও বৈঠক শুরু হয়নি। বিকেলে বৈঠক শুরুর সময়ে ক্যামেরা দেখেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন রাশেদুল আলম। সাংবাদিকদের কে এনেছে তা জানতে চান তিনি। দুই সাংবাদিককের সাথে দুর্ব্যবহার করেন এবং একপর্যায়ে তিনি সভা থেকেই চলে যেতে প্রস্তুত হন। পরে অন্য কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীরা তাকে অনুরোধ করে সভায় রাখেন। এরপর রাশেদুল আলম উত্তেজিত হয়ে দুই সাংবাদিককে সভা থেকে চলে যেতে বললে তারা বের হয়ে আসেন।
ইমজার নিন্দা ও প্রতিবাদ :একজন দায়িত্বশীল সরকারি কর্মকর্তার এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে বিস্ময়, হতাশা ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েন (ইমজা), সিলেটের নেতৃবৃন্দ।এক বিবৃতিতে তারা বলেন, গণমাধ্যমের কাছ থেকে কী গোপন করতে চাইছেন ওই কাস্টম কর্মকর্তা? তা আমরা জানি না। টেলিভিশন মিডিয়ার সকল সাংবাদিকের পক্ষ থেকে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে ইমজা।বিবৃতিতে বলা হয়, এটি শুধু স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতি হুমকিই নয়, বরং গুটিকয়েক সরকারি কর্মকর্তার অসততা ও দাম্ভিকতার পরিচায়ক। এদের অপকর্মের কারণে রাষ্ট্র কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তার-ই একটি ছোটো উদাহরণ।ইমজা প্রত্যাশা করে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটেরর অফিসের তথ্যকে আরো আইনসিদ্ধ উন্মুক্ত রাখতে কর্তৃপক্ষ মনোযোগী হবেন।বিষয়টির সম্মানজনক সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত অত্র দপ্তরের সকল প্রকার খবর সংগ্রহ ও প্রচার থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দেয়া হয়।