ইস্ট লন্ডন মস্ক ও ইসলামিক রিলিফের যৌথ উদ্যোগে ৩০০ পরিবারকে খাদ্য-সামগ্রী প্রদান

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

লন্ডনঃ  জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির কারণে আর্থিক সংকটে থাকা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ইস্ট লন্ডন মস্ক ও ইসলামিক রিলিফ ইউকে। গত ৮ জানুয়ারি সোমবার বিকেলে লন্ডন মুসলিম সেন্টারের গ্রাউণ্ড ফ্লোরে প্রায় ৩০০ পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয় । এসময় উপস্থিত ছিলেন ইস্ট লন্ডন মস্ক এন্ড লন্ডন মুসলিম সেন্টারের সিইও জুনায়েদ আহমদ, হেড অব প্রোগ্রামস সুফিয়া আলম এবং ইসলামিক রিলিফ ইউকের ভলান্টিয়ারবৃন্দ। খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেট নিম্ন আয়ের মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হলে তাঁরা গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।এসময় ইস্ট লন্ডন মস্ক এন্ড লন্ডন মুসলিম সেন্টারের সিইও জুনায়েদ আহমদ বলেন, কমিউনিটির স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও পরিবারের ওপর জীবনযাত্রার ব্যয়-সংকটের মারাত্মক প্রভাব আমরা লক্ষ্য করছি । এই শীতে আমাদের প্রতিবেশীদের সাহায্য করতে ইসলামিক রিলিফ ইউকের সাথে অংশীদারিত্ব করে ৩০০ পরিবারকে ফুডপ্যাক সরবরাহ করতে পারায় আমরা গর্ববোধ করি । আমি আশাবাদী কমিউনিটির সুবিধাবঞ্চিত মানুষের আর্থিক সংকট কাটিয়ে ওঠতে ইসলামিক রিলিফ এই মহৎ কাজ অব্যাহত রাখবে।

ইস্ট লন্ডন মসজিদের হেড অব প্রোগ্রামস সুফিয়া আলম বলেন, “বেঁচে থাকার জন্য সাহায্য খুঁজছে এমন পরিবারের সাথে আমাদের প্রায়ই দেখা হয় । কোভিড মহামারির শুরু থেকে খাদ্যমূল্য ও জ্বালানির খরচ বাড়ার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়া মানুষদের আমরা দেখেছি, যার মধ্যে একক অভিভাবক পরিবার ও ডমেস্টিক ভায়োল্যান্সের শিকার নারীরাও রয়েছেন । ইসলামিক রিলিফের শীতকালীন খাদ্য-সামগ্রী কর্মসূচি এমন এক সময়ে সাহায্য করে যখন মানুষ কীভাবে তাদের ঘর-বাড়িতে হিটিং জ্বালাবে, আর কীভাবে দিনে দুবেলা খাবার যোগাড় করবে- সেই দুশ্চিন্তায় থাকে।ইসলামিক রিলিফ ইউকের ডেপুটি ডাইরেক্টর জিয়া সালিক বলেন, এমনিতে কমিউনিটির নিম্ন আয়ের মানুষ শীতকালে বছরের সবচেয়ে কঠিন সময় পার করেন । এই শীতেও একই অবস্থা। একদিকে জ্বালানী ব্যয় মেটাতে হিমশিম অবস্থা, অন্যদিকে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় খাদ্য সংকটেও ভুগছেন । তাই এসময়ে আমরা এই সহযোগিতা করতে পেরে খূবই আনন্দিত।

উল্লেখ্য, ফুডপ্যাক প্রদানের উদ্যোগ ইসলামিক রিলিফ ইউকের সর্ববৃহৎ জাতীয় শীতকালীন খাদ্য বিতরণ কর্মসূচির একটি অংশ । ইসলামিক রিলিফ ইউকে বছরের একটি কঠিন সময়ে তাদের ২৮টি পার্টনার সংগঠনের সাথে মিলে আর্থিক সংকটে থাকা পরিবারের জন্য খাদ্যসামগ্রী বা ফুডপ্যাক পৌঁছে দেয় ।যুক্তরাজ্যে বর্তমানে রেকর্ড সংখ্যক পরিবার ফুড ব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল। ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফুড এইড নেটওয়ার্কের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৯০ শতাংশ ‘ফুড ব্যাংক’ খাদ্যের বাড়তি চাহিদার কথা দেখতে পাচ্ছে। এনএইচএস কর্মী এবং শিক্ষকদের মতোই ফুডব্যাংকগুলোও বাড়তি চাহিদা মেটাতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে । জীবনযাত্রার ব্যয়-বৃদ্ধির সংকট নিম্ন আয়ের পরিবার যেমন- হোমলেস, অ্যাসাইলাম সীকার ও শরণার্থীদের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছে ।

You might also like