ঈদের ছুটিতে বৃষ্টির দাপট সিলেটে পর্যটক আসছে কম

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ সিলেটে ঈদুল আযহার ছুটি শুরু থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। ঈদের আগের দিন থেমে থেমে বৃষ্টি হলেও ঈদের পরদিন ৩০ জুন শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির দাপটে এবার সিলেটের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের তেমন উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি।আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেট কার্যালয় জানিয়েছে, সিলেটে ঈদের আগের দিন বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৩৩ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ঈদের দিন সকালে কিছুক্ষণ বৃষ্টি ছিল না। তবে সকাল ১০টার পর বৃষ্টি শুরু হয়। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৩০ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। শুক্রবার ভোর থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টির পর ২ ঘণ্টা থেমে আবার বৃষ্টি শুরু হয়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে আবার বৃষ্টি শুরু হয়।

শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী ১২ঘণ্টায় সিলেটে ৭৩ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন। তিনি বলেন, ১ জুলাই শনিবারও সিলেটে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
টানা বৃষ্টিতে সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের উপস্থিতি খুব একটা লক্ষ্য করা যায়নি। এবার কোরবানির ঈদে বৃষ্টির প্রভাব থাকায় পর্যটকদের তেমন সাড়া মেলেনি। কোম্পানীগঞ্জে সাদা পাথরের পর্যটনকেন্দ্রে সকালে পর্যটকদের উপস্থিতি ছিল হাতেগোনা। তবে দুপুরের দিকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে কিছু পর্যটক সেখানে ঘুরতে যান।কোম্পানীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা কবির আহমদ বলেন, ঈদের দিন সাধারণত পর্যটক উপস্থিতি কম থাকে। অনেকে আশা করেছিলেন ঈদের পরের দিন পর্যটক উপস্থিতি বাড়বে। কিন্তু সেভাবে কেউ আসেনি। শুক্রবার সকালে হাতেগোনা কয়েকজন এসেছিলেন। দুপুরে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ছাতা নিয়ে অনেকেই সেখানে হাজির হয়েছিলেন। তবে বিকেল গড়াতেই এলাকা জনশূন্য হয়ে পড়ে।জাফলং পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের উপস্থিতি খুব একটা নেই বলে জানিয়েছেন সেখানকার বাসিন্দা আরিফ আহমেদ। তিনি বলেন, ২/৩ দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। এজন্য পর্যটকদের তেমন একটা উপস্থিতি নেই। এরপরও তারা নিরাশ হচ্ছেন না।
এদিকে রাতারগুলেও বৃষ্টির প্রভাবে পর্যটকদের উপস্থিতি কম ছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। রাতারগুল গ্রামের বাসিন্দা সোনা মিয়া বলেন, কিছু পর্যটক এসেছেন। তবে বৃষ্টির কারণে সেটা আশানুরূপ না।

তবে শনিবার বিকেলে সিলেটের চা-বাগানগুলোতে পর্যটকদের ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে। শহরতলির বিমানবন্দর সড়কের পাশে ও সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পাশের চা-বাগানগুলোতে বিনোদনপ্রেমীরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তবে তাঁদের অধিকাংশই স্থানীয় পর্যটক বলে জানা গেছে।পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও লুসিকান্ত হাজং বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তাসহ সবদিক বিবেচনায় সতর্ক আছে উপজেলা প্রশাসন। নদের পানি বাড়লেও যাতে তাঁরা ঝুঁকি নিয়ে সেখানে যাতায়াত না করেন, এ জন্য নৌকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে লাইফ জ্যাকেট রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।জাফলং ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. রতন শেখ বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ট্যুরিস্ট পুলিশ কাজ করছে।

You might also like