উদ্বোধনের আগেই ছাতকে সুরমা ব্রিজে টোল আদায় করা হচ্ছে

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ সুনামগঞ্জের ছাতকে সুরমা ব্রিজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন না হলেও ব্রিজের মুখে স্থাপিত টোল প্লাজার মাধ্যমে টোল আদায় শুরু হয়েছে। ৮ নভেম্বর রাত ১টা থেকে এ সেতুতে টোল আদায় শুরু করেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর। এরআগে ব্রিজের জন্য যানবাহনের শ্রেণী ও টোল হার চূড়ান্ত করা হয়। এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে সুনামগঞ্জ সড়ক বিভাগ।ছাতক থেকে সংবাদদাতা জানান, সওজের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী টোল হারে রিক্স্যাভ্যান/রিক্সা/বাইসাইকেল/ঠেলাগাড়ি ৫টাকা, মোটরসাইকেল ৫টাকা, অটোটেম্পো, সিএনজি অটোরিক্সা, অটোভ্যান, ব্যাটারিচালিত ৩/৪ চাকার যে কোন ধরনের মোটরাইজড যান ৫ টাকা, ব্যক্তিগত গাড়ি এবং ভাড়ায়চালিত সকল সিডান কার ১৫ টাকা, পিকআপ, কনভারশনকৃত জীপ, রেকার, ক্রেন ২০ টাকা, চালক ব্যতীত অন্য ৮ জন এবং অনধিক ১৫ জন যাত্রী বহনকারী যান ২০ টাকা, মিনিবাস-কোস্টার চালক ব্যতীত অনধিক ৩০ জন যাত্রী বহনকারী যান ২৫ টাকা। পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টর ৩০ টাকা, ৩ টন পর্যন্ত পেলোড ধারণে সক্ষম যানবাহন ৪০ টাকা, চালক ব্যতীত ৩১ অথবা তদূর্ধ্ব আসন বিশিষ্ট মোটরযান ৪৫ টাকা, দুই এক্সেল বিশিষ্ট বিজিট ট্রাক/বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত ট্রাক্টর এবং ট্রেইলার ৫০ টাকা, ৩ বা ততোধিক এক্সেল বিশিষ্ট ট্রাক, কাভার্ড ট্রাক/ভ্যান, কনটেইনারবাহী ট্রাক, অন্যান্য আর্টিকুলেটেড যানবাহন ১০০ টাকা, কন্টেইনার, ভারী যন্ত্রপাতি, ভারী মালামাল/ সরঞ্জাম ১২৫ টাকা।৮ নভেম্বর সোমবার দিবাগত রাত ১টা ৮মিনিটে সুরমা ব্রিজে প্রথম টোল দিয়ে মোটর সাইকেল যোগে ব্রিজ পার হন ছাতক প্রেসক্লাব সভাপতি সৈয়দ হারুন-অর রশীদ ও সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক পাঠাগার সম্পাদক এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম।

সওজ ছাতকের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাছুম আহমদ সিদ্দিকী জানান, মঙ্গলবার থেকে ছাতকের লাফার্জ ঘাটের ফেরিটি বন্ধ হয়ে গেছে। আগামী তিন মাস পর্যন্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এখান থেকে টোল আদায় করবে বলে জানান তিনি।সূত্রমতে, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক গেল ৭ নভেম্বর রানীগঞ্জ সেতুসহ দেশের অন্যান্য সেতুর সাথে ছাতকের সুরমা ব্রিজ উদ্বোধনের কথা থাকলেও ছাতক-দোয়ারাবাজারের এমপি মুহিবুর রহমান মানিকের বিশেষ অনুরোধে ব্রিজের উদ্বোধন পিছিয়ে যায়। এমপি মানিক ৬ ডিসেম্বর ছাতক মুক্ত দিবসে ব্রিজটি উদ্বোধনের অনুরোধ জানিয়েছেন। ১৯৭১ সালের এই দিনে ছাতক শহর পাক হানাদার মুক্ত হয়।এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্যে ট্রেনিং নিতে যাবার সময় ব্রিজ না থাকায় নৌকাযোগে সুরমা নদী পাড়ি দিতে গিয়ে ১৭ জন তরুণ পাক হায়েনাদের হাতে ধরা পড়ে। পাক হানাদার বাহিনী তাদের নির্মমভাবে হত্যা করে ছাতকে শিখা সতেরতে সমাধিস্থ করে। সুরমা ব্রিজের উদ্বোধনকে স্মরণীয় করে রাখার জন্যে ৬ ডিসেম্বর ব্রিজের উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারণের অনুরোধ করেছেন এমপি মানিক। এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে প্রখ্যাত মরমী সাধক বাউল দূর্ব্বিণ শাহের নামে ব্রিজটির নামকরণের পক্ষেও মত প্রকাশ করেছেন তিনি।

You might also like