উপনির্বাচনে দল মনোনীত প্রার্থীকে জয়ী করার নির্দেশ শেখ হাসিনার

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ সামনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া কয়েকটি শূন্য আসনের উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর প‌ক্ষে কাজ করার জন‌্য নেতাকর্মী‌দের প্রতি আহ্বান জা‌নি‌য়ে‌ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তি‌নি ব‌লেন, ‘জনগ‌ণের প্রতি আমা‌দের আস্থা এবং বিশ্বাস আছে। তারা আমা‌দের বারবার ভোট দি‌চ্ছেন এবং কাজ করার সু‌যোগ সৃষ্টি ক‌রে দি‌চ্ছেন। দলের মধ্য থেকে যেন আমাদের দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করা হয়।’বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় গণভবন থে‌কে সংযুক্ত (ভার্চুয়াল) হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী ব‌লেন, ‘এবার করোনাভাইরাসের সময় দলের নেতাকর্মীরা যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ত্রাণ দিয়েছেন, সাহায্য সহযোগিতা করেছেন সেজন্য আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। মানুষকে সহযোগিতা করাই হলো আপনাদের কাজ। জাতির পিতা আমাদের সেই শিক্ষা দিয়েছেন। বাংলাদেশের জনগণ আমাদের বারবার ভোট দিয়েছেন। আমরা জনগণের জন্য কাজ করছি। আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলাম, আমাদের প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ২ ভাগ টার্গেট করেছিলাম। এপ্রিল পর্যন্ত আমরা ৭ দশমিক ২ ভাগে পৌঁছেছিলাম। কিন্তু করোনার কারণে কিছুটা কমে গেছে। তারপরও আমরা ভালো অবস্থানে আছি। সব ক্ষেত্রেই আমরা বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছি। ব্যবসা-বাণিজ্য ভালোভাবেই চলছে। আমরা ১০০টা অর্থনৈতিক অঞ্চল করতে যাচ্ছি। সেখানে আমরা বিনিয়োগ করতে চাই এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদেরও সুযোগ করে দিতে চাই।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষকে নিয়েই আমাদের চিন্তা এবং কাজ। দেশের মানুষ কীভাবে ভালো থাকবে সেজন্য কাজ করা। জাতির পিতা আমাদের আদর্শ তার আদর্শ নিয়েই আমাদের সামনে চলতে হবে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে আমরা যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলাম, করোনার কারণে সেভাবে আমরা পালন কর‌তে পারিনি। তারপরও আমরা লক্ষ্য স্থির করেছি যে, মু‌জিববর্ষ উপল‌ক্ষে আমরা সারাদেশে পর্যাপ্ত গাছ লাগাব। ভূমিহীনদের ভূমি দেব। যারা গৃহহীন তাদের আমরা ঘর করে দেব। যাদের গৃহ নেই দলের পক্ষ থেকেও আমরা তাদের তালিকা তৈরি করতে পারি। যাদের ভিটা আছে কিন্তু ঘর তোলার টাকা নেই তাদের আমরা সহযোগিতা করে যাচ্ছি। সামনে কয়েকটা উপনির্বাচন আছে।’ নির্বাচনে নেতাকর্মীদের দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন‌্য ব‌লেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিকে আরও সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে চাই। এটা ছাত্র-শিক্ষকদের মিলনকেন্দ্র, সে কারণে এটাকে আরও সুন্দর করে গড়ে তোলার প‌রিকল্পনা গ্রহণ ক‌রে‌ছি। এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং ডিজাইন করার কথা বলা হয়েছে। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলাম। জাতির পিতাও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। সে কারণে আমরা এটা করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নি‌য়ে‌ছি। এছাড়া পাব‌লিক লাইব্রেরি ও হলগু‌লোও আধু‌নিকায়ন কর‌তে চাই।সরকারপ্রধান বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেল কলেজকেও (ঢামেক) আমরা সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে চাই। এখানে প্রতি‌দিন ৫ হাজার রোগী চিকিৎসা পায়, সে ব‌্যবস্থা আমরা কর‌ব। আমরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল হিসেবে এটাকে গড়ে তুলব। যেহেতু সারাদেশ থেকে মানুষ এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে সে কারণেই এই হাসপাতালে উন্নয়ন দরকার। মেডিকেল কলেজের পাশে যেহেতু শহীদ মিনার, সে শহীদ মিনার‌কেও আমরা আরও সুন্দরভাবে তৈরি করব। আমতলা এখানকার ঐতিহ্যবাহী স্থান। সেখান থেকে বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন, আমরা ‌সে স্থান‌কেও রক্ষা করব স্মৃতি হিসেবে।

You might also like