ঋণগ্রহীতাদের জন্য ২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি: শেখ হাসিনা
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ করোনা ভাইরাস মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতাদের বিগত দুই মাসের সুদের চাপ কমাতে দুই হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।ফলে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া আনুমানিক এক কোটি ৩৮ লাখ ঋণগ্রহীতা সরাসরি উপকৃত হবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।রবিবার (৩১ মে) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশকালে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ইতোমধ্যে যারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে, এই দুই মাস যেহেতু সবকিছু বন্ধ, কাজেই এখানে সুদ টানার প্রয়োজন হবে না। এখানে আমরা তাদের কিছু সুযোগ-সুবিধা দেব।
তিনি বলেন, আমি অর্থমন্ত্রী, অর্থসচিব, ব্যাংকের গর্ভনর সবার সঙ্গে বসে আমরা নতুন একটা প্যাকেজ দিয়েছি। আমরা ইতোমধ্যে ১৮টি প্যাকেজ দিয়েছি। এটা হলো ১৯ নম্বর প্যাকেজ। ১৯টি প্যাকেজ আমরা দিচ্ছি। সেখানে আমরা এইভাবে ব্যবস্থা নিয়েছি। যেহেতু দুই মাসের সুদ… স্থগিত করা ছিল, সেখানে সুদের পরিমাণ প্রায় ১৬ হাজার ৫৪৯ কোটি টাকা। স্থগিত করা উপরোক্ত যে সুদ, এই সুদের মধ্যে দুই হাজার কোটি টাকা সরকার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ভর্তুকি হিসেবে দেবে।যা আনুপাতিক হারে ঋণগ্রহীতাদের আর পরিশোধ করতে হবে না। তাদের এইটুকু আমরা মুক্ত করে দিচ্ছি। আর সুদের যে অবশিষ্ট অর্থ, সেটা ১২ মাস কিস্তিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ঋণগ্রহীতারা পরিশোধ করবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার এই দুই হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়ার ফলে আনুমানিক এক কোটি ৩৮ লাখ ঋণগ্রহীতা যারা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন, তারা সরাসরি উপকৃত হবেন। তারা উপকার পাবেন।ইতোপূর্বে ঘোষিত প্যাকেজগুলোর কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আপনারা জানেন আমরা এক লাখ কোটি টাকার উপরে প্রণোদনা দিয়েছি। যেটা আমাদের জিডিপির ৩ দশমিক ৭ ভাগ। আমরা প্রণোদনা দিচ্ছি। এত প্রণোদনা পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে দিয়েছে কি-না, জানি না।তিনি বলেন, এই দুই হাজার কোটি টাকাসহ সরকার ঘোষিত ১৯টি প্রণোদনা প্যাকেজে মোট পরিমাণ দাঁড়ালো এক লাখ তিন হাজার ১১৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ ১২ দশমিক ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ। যা জিডিপির ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। আমি জানি না পৃথিবীর অন্য কোনো দেশ এভাবে দিয়েছে কি-না। কিন্তু আমরা সেভাবে সেই সুযোগটা দিচ্ছি।প্রণোদনা প্যাকেজের বাইরে কওমি মাদ্রাসা, মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনদের বিশেষ অর্থ সহায়তা এবং বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা সহযোগিতা ও ভাতার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।