একাত্তরের পরাজিত শত্রুরা এখনও সক্রিয়:বিভাগীয় কমিশনার
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেছেন, একাত্তরের পরাজিত শত্রুরা এখনও সক্রিয়। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা করে স্বাধীনতা ঠেকাতে না পেরে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করতে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল। এখন বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিকে বাঁধাগ্রস্ত করতে একের পর এক চক্রান্ত করে যাচ্ছে। কিন্তু সকল চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ১৪ ডিসেম্বর বুধবার সকালে সিলেট জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো মজিবর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ পিপিএম, মহানগর পুলিশ কমিশনার মো নিশারুল আরিফ, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, নগর আ’লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. মামুনুর রশীদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবারক হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তৌছিফ আহমদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এএসএম কাশেম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল, সিলেট জেলা প্রেসক্লাব সভাপতি আল-আজাদ, তথ্য অফিসের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন, জেলা শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা সাইদুর রহমান ভূঞা, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাব সভাপতি মুহিত চৌধুরী প্রমুখ।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, গণতন্ত্র থাকলে উন্নয়ন হয়। গণতন্ত্র নিশ্চিত হয়েছে বলেই বাংলাদেশ বিশ্বে এখন উন্নয়নের রোল মডেল। ডিজিটাল বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশে রূপ নিচ্ছে। তিনি বলেন, ইতিহাস মনে শক্তি জোগায়-সাহস বাড়ায়। তাই নতুন প্রজন্মকে বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের প্রকৃত ইতিহাস জানতে দিতে হবে।ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বরের পরপরই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আলবদর-আলশামস ও রাজাকারদের তৈরি করা তালিকা অনুযায়ী বুদ্ধিজীবী হত্যা শুরু করে।বিশেষ অতিথি ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, শত্রু যখন নিশ্চিত হয়ে যায় পরাজয় আসন্ন তখনই দেশসেরা মেধাবীদের হত্যায় মেতে উঠে। একাত্তরে বাংলাদেশে তাই ঘটেছিল; কিন্তু বাঙালি জাতি থেমে যায়নি-স্বাধীনতার স্বপ্নপূরণের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।এসএমপি কমিশনার মো নিশারুল আরিফ বলেন, স্বাধীনতার শত্রুরা জাতির মেরুদ- ভেঙে দিতেই কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষক, সাংবাদিক, ডাক্তার, আইনজীবী, প্রকৌশলী, দার্শনিক ও বিজ্ঞানীদের হত্যা করে।পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ বিরোধী চক্রান্ত চলছে। জঙ্গী ও মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেন, জামায়াতে ইসলামসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এখনও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।অধ্যাপক জাকির হোসেন সম্মিলিতভাবে সকল চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র নির্মূল করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানান।সহকারী কমিশনার মো মাহবুবুল ইসলাম ও সহকারী কমিশনার সাদিয়া বিনতে সোলায়মান অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।