এনআইডি জালিয়াতি সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত ইসির
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ এনআইডি জালিয়াতির ঘটনায় জেকেজির ডা.সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলা করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) এ সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।এর আগে, ভিন্ন তথ্য দিয়ে জালিয়াতি করে দুইটি এনআইডি কার্ড নিজের নামে নেন ডা. সাবরিনা। এ বিষয়ে দুদক চিঠি দেয়ার পর বিষয়টি খতিয়ে দেখা শুরু করে নির্বাচন কমিশন।নমুনা ফেলে দিয়ে ভুয়া কোভিড রিপোর্ট তৈরির দায়ে কারাগারে জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যানে ডা. সাবরিনা ও আরিফ চৌধুরী। শুরু হয়েছে বিচারিক প্রক্রিয়াও। এরমধ্যে মিলল ভিন্ন এক প্রতারণার তথ্য। জালিয়াতি করে দুইবার ভোটার হয়ে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করিয়ে নেন ডা. সাবরিনা।
দুটি এনআইডি কার্ডের তথ্য একেবারেই ভিন্ন। একটিতে মায়ের নামের জায়গায় লেখা রয়েছে কিশোয়ার জেসমিন। অন্যটিতে জেসমিন হুসেইন। একটি কার্ডে তার স্বামীর নাম আর এইচ হক। অন্যটিতে আরিফুল চৌধুরী। একটিতে তার জন্মসাল ১৯৭৮ সাল। ৫ বছর কমিয়ে অন্যটিতে দেয়া হয়েছে ১৯৮৩ সাল। একটি কার্ডে পেশা ডাক্তার, অন্যটিতে সরকারি চাকরি। একটি আইডি কার্ডে তার স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা মোহাম্মদপুর পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি। অন্যটিতে রয়েছে বাড্ডার প্রগতী সরণি।নির্বাচনী কমিশনের তথ্যভাণ্ডার বলছে, সাবরিনা প্রথম আইডি কার্ডটি নিয়েছেন ২০১৬ সালের হালনাগাদে। আর দ্বিতীয় আইডি কার্ডটি রয়েছে নতুন ভোটার তালিকায়। তবে দুটিতে স্বাক্ষর একই।সম্প্রতি সাবরিনার একাধিক আইডি কার্ডের নাম্বার দিয়ে নির্বাচনে কমিশনকে চিঠি দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। ভোটার তালিকা আইন ২০০৯ বলছে, তথ্য গোপন করে কেউ ভোটার হলে ৬ মাসের জেল এবং ২ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।