এমসি কলেজে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরে হাইকোর্টের রুল
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় দুই অভিযোগের বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া গ্রহণে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সাবরিনা জেরিন ও এম আব্দুল কাইয়ূম লিটন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।এম আব্দুল কাইয়ুম লিটন জানান, গত বছরের জানুয়ারিতে ধর্ষণ এবং চাঁদাবাজির মামলায় চলতি বছরের মে মাসে অভিযোগ গঠন করা হলেও এখন পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি। এ কারণে মামলার বাদী ওই তরুণীর স্বামী মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের জন্য হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের শুনানি শেষে মঙ্গলবার হাইকোর্ট এ রুল জারি করেন। রুলে ১০ দিনের মধ্যে বিবাদীদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে তরুণীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করেন ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মী। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে নগরীর শাহপরাণ (রহ:) থানায় মামলা করেন।মামলায় ওই বছরের ৩ ডিসেম্বর ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। গত বছরের ১৭ জানুয়ারি এ মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক চৌধুরী।অভিযুক্তরা হলেন সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজন, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম। এছাড়া এ ঘটনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়রা জজ আদালতে পৃথক অভিযোগপত্র দেয়া হয়।পরে বাদীপক্ষ হাইকোর্টে এলে দু’টি মামলা এক আদালতে চলবে বলে আদেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর চলতি বছরের ১১মে ছিনতাই ও চাঁদাবাজির ঘটনায় অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন আদালত।