এলাকাবাসীর সঙ্গে শাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষঃ আহত কমপক্ষে ৫০

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ বহিরাগতদের সাথে হাতাহাতির জেরে সিলেটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘর্ষে জড়ায় স্থানীয়রা। ১৬ জুন শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এলাকাবাসীর সাথে শিক্ষার্থীদের এ সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হন।
পুলিশ সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ঢুকতে না দেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা রক্ষীদের সাথে বাক-বিতন্ডায় জড়ায় কয়েকজন বহিরাগত। একপর্যায়ে নিরাপত্তারক্ষীর গায়ে হাত তোলেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী তাদেরকে ভিতরে যেতে বাঁধা দেয়ায় তর্কাতর্কির একপর্যায়ে শাবি শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। শাবির ভিতরের রাস্তা স্থানীয় বাসিন্দারা ব্যবহার করার দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকাবাসীর মধ্যে। এ সময় উভয়পক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে মুখোমুখি অবস্থান নেয়। শাবি শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ফটকের সামনের সড়ক অবরোধ করেন।

এ অবস্থায় আখালিয়া এলাকাবাসী ও শাবি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয়পক্ষের মধ্যে ঘণ্টাখানেক ধাওয়া-ধায়ি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা চলতে থাকে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ আহত হন প্রায় অর্ধশতাধিক। আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা দেয়া হয়। ঘটনার সময় বেশ কয়েকটি যানবাহন, দোকান ও যুবলীগ কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ হয়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের ভেতরে রয়েছে। আমরা পরবর্তীতে দু’পক্ষকে নিয়ে বসে আলোচনা করে এর সমাধান করবো।জালালাবাদ থানার ওসি সাইফুল ইসলাম রুকন জানান, শুক্রবার বিকেলে বহিরাগতদের সাথে হাতাহাতির জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘর্ষে জড়ায় স্থানীয়রা। এ সময় এলাকাবাসী ও শাবি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। জড়িতদের খুঁজে বের করতে কাজ করছে পুলিশ। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

You might also like