এ্যাকশনে প্রশাসন: চোরাই চিনি আসা থামছে না সিলেটের হাট-বাজারে

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ সিলেট অঞ্চলের হাট-বাজার দখলে নিয়েছে অবৈধ পথে আসা ভারতীয় চিনি। প্রতিদিন চোরাকারবারিরা টনের পর টন চিনি নিয়ে আসছে সিলেটে।পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতা অব্যাহত থাকলেও কোনোভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না চিনির চোরাচালান। অভিযোগ আছে, খোদ প্রশাসনের অসাধু কর্তাদের ম্যানেজ করে চোরাকারবারিরা তাদের অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে দেশে উৎপাদিত চিনি বাজার হারাচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।বিভিন্ন তথ্য-সুত্রে জানা গেছে, সীমান্তবর্তী জেলা হওয়াতে ভারত থেকে বিভিন্ন চোরাই পণ্য সিলেটে নিয়ে আসা সহজ। এজন্য বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা যেমন- জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, বিয়ানীবাজার, বড়লেখা, জুড়ি, কমলগঞ্জ, তাহিরপুর উপজেলার শতাধিক স্থান দিয়ে চোরাই পণ্য সিলেটে প্রবেশ করে। সীমান্তবর্তী এসব উপজেলার বেশ কিছু মানুষ চিনিসহ ভারতীয় বিভিন্ন পণ্য চোরাচালান ও পাচারে জড়িত। এতে একশ্রেণীর মানুষ লাভবান হলেও দেশীয় চিনিশিল্প হুমকির মুখে পড়ছে।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সুত্রে জানা গেছে, দেশীয় বাজারের তুলনায় ভারতীয় চিনির দাম কম হওয়াতে চোরাকারবারিরা সুযোগ নেয়। তবে চিনিসহ ভারতীয় বিভিন্ন পণ্য চোরাচালান ও পাচার বন্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।এসএমপির উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ গণমাধ্যমকে জানান, সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি)’র হিসেবে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত অবৈধ পথে আসা ১৪৪ মেট্রিক টন চিনি জব্দ করা হয়। এ সময়ে ৫০টি মামলা এবং ৮২ চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল-মামুন জানান, শুধু চলতি মাসের ২৩ আগস্ট পর্যন্ত জেলার ৮ থানা এলাকা থেকে ৭৯ মেট্রিক টন চিনি জব্দ এবং ৬২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জব্দ করা চিনি আদালতের মাধ্যমে নিলামে বিক্রি করা হয়। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে প্রচুর চিনি দেশে প্রবেশ করছে।বিজিবি সিলেট সেক্টরের আওতাধীন সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার ৩টি ব্যাটালিয়নের সীমান্ত এলাকায় গত ১ জুলাই থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত ২১০ মেট্রিক টন ভারতীয় চিনি জব্দ করা হয়েছে, যার মূল্য প্রায় ২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।

You might also like