ওমিক্রন কোভিড-১৯ এর ডেল্টা ভেরিয়েন্টের জায়গা নিচ্ছে : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ দক্ষিণ আফ্রিকান ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ধীরে ধীরে সারা দেশে কোভিড-১৯ এর ডেল্টা ভেরিয়েন্টের জায়গা নিচ্ছে।আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) মুখপাত্র অধ্যাপক ড. নাজমুল ইসলাম এক স্বাস্থ্য বুলেটিনে বলেন, কোভিড-১৯-এর ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট আক্রান্ত বলে শনাক্ত হওয়া ৭৩ শতাংশ মানুষের সর্দির উপসর্গ দেখা গেছে। অন্যদিকে ৬৮ শতাংশের মাথা ব্যথা, ৬৪ শতাংশের ক্লান্তি এবং ৬০ শতাংশের হাঁচি রয়েছে।তিনি আরও বলেন, ৬০ শতাংশ রোগীর গলা ব্যথার লক্ষণ দেখা গেছে এবং ৪৪ শতাংশের কাশি হয়েছে।

নাজমুল বলেন, আমাদের এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে, মৌসুমী ফ্লু এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার সঙ্গে লক্ষণগুলোর মিল রয়েছে।মুখপাত্র আরও বলেন, সুতরাং, এরকম উপসর্গ দেখা দিলে আমাদের চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিৎ। গত তিন মাসের তুলনায় হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে যা পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর চাপ সৃষ্টি করেছে।তিনি আরও বলেন, আমরা যদি স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করি, করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।আজ ২৩ জানুয়ারি বাংলাদেশে ১০ হাজার ৯ শ’ ৬ জন কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছে এবং করোনাভাইরাসে একদিনে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) প্রতিদিনের বিবৃতিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘন্টায় দেশে ৩৪ হাজার ৮ শ’ ৫৪ টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩১.২৯ শতাংশ কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া গেছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মান অনুযায়ী, বাংলাদেশ

বিপদসীমার অনেক নিচে রয়েছে কারণ দেশে তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে কোভিড-১৯ আক্রান্ত পরীক্ষার ক্ষেত্রে পাঁচ শতাংশেরও কম পজিটিভ দেখা গেছে। কর্তৃপক্ষ ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষিতে ২০২১ এর ২৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশের জন্য নতুন সতর্কতা জারি করেছে।ডাব্লিউএইচও (হু) ওমিক্রনকে ‘উদ্বেগজনক ধরন’ হিসাবে ঘোষণা করেছে।তবে ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় ভাইরাসের ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট উদ্ভবের পর সারা বিশ্ব থেকে এই নতুন ঢেউয়ের খবর পাওয়া গেছে এবং ১১ ডিসেম্বর বাংলাদেশে এটি প্রথম শনাক্ত করা হয়।

You might also like