‘ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যবাদের জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত ব্রিটেনের’
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
লন্ডনঃ ব্রিটেনের ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যের ভুল এবং বর্ণবাদ নিয়ে নতুন এক বিতর্ক উসকে দিয়েছেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স হ্যারি এবং ডাচেস অফ সাসেক্স মেঘান মেরকেল।ঔপনিবেশিক শাসনের ভুল-ভ্রান্তির ব্যাপারে ব্রিটেনের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের এ দুই সদস্য।তারা বলেছেন,আমাদেরকে অতীত স্বীকার করতে হবে। ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের আয়োজিত কমনওয়েলথ ট্রাস্টের অনলাইন কনফারেন্সে অংশ নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবাদ এবং চৈতন্যহীন পক্ষপাতিত্বের বিরুদ্ধে কথা বলেন দ্য ডিউক ও ডাচেস অফ সাসেক্স।সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশি নিপীড়নে কৃষ্ণাঙ্গ এক যুবকের প্রাণহানির ঘটনা ঘিরে বিশ্বে বিভিন্ন দেশে বর্ণবাদবিরোধী ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলন শুরু হয়েছে। ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনও ধরনের মন্তব্য করেননি। এমনকি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলের অপরাধের ব্যাপারেও কখনও ক্ষমা চাননি তিনি।
কমনওয়েলথের ৫৪ সদস্য রাষ্ট্রের প্রায় সবাই ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যের অন্তর্ভূক্ত ছিল। প্রিন্স হ্যারি বলেন, আপনি যখন কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর দিকে তাকাবেন, তখন দেখবেন- অতীত স্বীকার করে নেয়া ছাড়া সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার কোনও পথ নেই।মেঘান মেরকেল বলেন, এটা শুধুমাত্র বিশেষ বিশেষ মুহূর্তে নয় বরং শান্ত সময়েও ঘটে; যেখানে বর্ণবাদ এবং চৈতন্যহীন পক্ষপাতিত্ব লুকায়িত থাকে, লালন করা হয় এবং বেড়ে ওঠে। এতে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে যারা ভূমিকা রাখেন তাদের ব্যাপারে অনেকসংখ্যক মানুষ দ্বিধায় পড়ে যান।
প্রিন্স হ্যারি বলেন, মানুষকে অবশ্যই তার অতীত স্বীকার করে নিতে হবে। এমনকি যদি তা অস্বস্তিকরও হয়। অতীতের স্বীকারোক্তির ব্যাপারে অসংখ্য মানুষ চমৎকার কাজ করেছেন এবং সেসব ভুল শোধরানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আমি মনে করি, আমাদের সবার স্বীকার করা উচিত যে, এখনও আরও অনেক কিছু করার দরকার আছে।ব্রিটিশ এই প্রিন্স বলেন, এটা করা খুব সহজ হবে না। কিছু ক্ষেত্রে এটা স্বস্তিকর হবে না। কিন্তু এটা করা দরকার। কারণ এতে প্রত্যেকেই উপকৃত হবেন।চলতি বছরের শুরুর দিকে ব্রিটিশ রাজ-পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যের ভূমিকা থেকে অব্যাহতির ঘোষণা দেন প্রিন্স হ্যারি এবং ডাচেস অফ সাসেক্স মেঘান মেরকেল। তার পর থেকেই অধিকাংশ সময় উত্তর আমেরিকায় কাটাচ্ছেন রাজ-পরিবারের এ দুই সদস্য।সূত্র: সিএনএন, নিউজউইক।