করোনাকালের স্বাস্থ্যবিধি এবং আমাদের হবিগঞ্জ

চৌধুরী ফরহাদ
সত্যবাণী

হবিগঞ্জ: করোনাকালে সচেতন নাগরিক কমিটি গঠনের পর আমাদের একটি দিনও ঘরে বসে থাকার সুযোগ হয়নি।হবিগঞ্জ জেলাবাসীকে করোনা থেকে বাঁচাতে নিত্য জনসচেতনতামূলক কর্মকান্ড,মাস্ক বিতরন ও মানবিক তৎপরতা অব্যহত রয়েছে। গত ২৩ জুন ২০২০ জেলা সচেতন নাগরিক কমিটির উদ্যোগে এডভোকেট সৈয়দ সামায়ুন বখ্ত,এডভোকেট সৈয়দ জাদিল,মাধব সরকার,জুনায়েদ আহমেদ,মিনহাদ চৌধুরীসহ আমরা হবিগঞ্জ পৌর বাস টার্মিনালে আমাদের নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জনসচেতনতামূলক প্রচারনা ও মাস্ক বিতরন করি।বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দেখতে পাই এই মহামারি করোনাকালে সুরক্ষা কবজ স্বাস্থ্যবিধি’র তোয়াক্কা না করে চা-পান-সিগারেটের দোকানে অবাদে আড্ডাবাজি,এক কাপে শতজনের চা পান চলছে!

কৌতুহলবশত চায়ের কাপ কিভাবে জীবানুমুক্ত করা হয় স্টল মালিকদের এমন প্রশ্নের মুখে সাবান দিয়ে কাপ ধোয়ার কথা বললেও তার বাস্তব নমুনা দেখা যায়নি। সবচেয়ে বড় কথা জেলার একমাত্র বাস টার্মিনালে যাত্রীদের হাত ধোয়ার কোন ব্যবস্থা আমাদের চোখে পড়েনি। বাস কাউন্টারের সুপারভাইজারকে যাত্রীদের হাত ধোয়ার ব্যবস্থা আছে কিনা জিগ্যেস করলে তিনি বলেন, হাত ধোয়ার ব্যবস্থা পিছনে করা আছে! কিন্তু সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সার্বক্ষণিক যাত্রী চলাচলের স্থানে হাত ধোয়ার কোন ব্যবস্থা না রেখে এমন এক স্থানে সাবান পানি রাখা হয়েছে যেখানে যাত্রীরা সহজে যেতে চায় না।তাছাড়া কোন পরিবহন শ্রমিকের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি।এছাড়া বাসে মাস্কবিহীন যাত্রী উঠানো হচ্ছে, যাত্রী আসন জীবানুমুক্ত করার কোন উপকরনও আমাদের চোখে পড়েনি।এক আসন ফাঁকা রেখে বসার নিয়মও যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিক কেউ মানছেন না।এই বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর এবং করোনা সংক্রামনের জন্য যথেষ্ঠ আশঙ্কাজনকও বটে। ইতিমধ্যে হবিগঞ্জ জেলায় প্রতিদিনই করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনাকালের এমন সুপার পিক আওয়ারে বাস ও সিএনজি স্ট্যান্ডগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি পরিপন্থী এমন অসচেতন চিত্র আমাদের হবিগঞ্জ জেলাবাসীর জন্য চরম অশনিসংকেত।

আমি এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসন হবিগঞ্জ ও জেলা পুলিশ বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। এখনই উপযুক্ত বিহীত ব্যবস্থা গ্রহন করার আহ্বান জানাচ্ছি। এই সংক্রান্তে প্রয়োজনে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতন নাগরিক কমিটি, হবিগঞ্জ জেলা সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করতে ইচ্ছুক।
You might also like