করোনার ভ্যাকসিন ট্রায়ালে অংশ নিলেন বাংলাদেশি তরুণ

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ মহামারী করোনা ভাইরাসের টিকা উদ্ভাবনে যেসব প্রতিষ্ঠান তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু করেছে তার মধ্যে অন্যতম চীনা কোম্পানি সিনোফার্ম।তারা যৌথভাবে আবুধাবির স্বাস্থ্য অধিদপ্তর-সেহা এবং গ্রুপ-৪২ নামের একটি কোম্পানি এই পরীক্ষা শুরু করেছে। সেই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশি তরুণ রাহাত আহমেদ রাফি।এ বিষয়ে বিবিসি বাংলা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

এ বিষয়ে রাফি জানিয়েছেন, ”আমার কোন ভয় লাগেনি। মানুষ তো মরণশীল, আজ হোক কাল হোক মারা যেতে হবে। এর মধ্যে মানুষের কল্যাণের জন্য যদি কিছু করতে পারি, সেটাই আমার সার্থকতা।এর আগে চীনে এই টিকার প্রথম আর দ্বিতীয় দফার পরীক্ষা হয়। দুইশর বেশি দেশের নাগরিক থাকায় তৃতীয় দফার পরীক্ষার জন্য আবুধাবিকে বেছে নিয়েছেন গবেষকরা। তৃতীয় দফায় সফল হলে সেই টিকার অনুমোদন দেয়া হয়ে থাকে।বিবিসি বাংলা জানায়, আবুধাবি এবং আল আইন শহরে পরীক্ষায় অংশ নিতে সাত হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী নাম তালিকাভুক্ত করেছেন। সবমিলিয়ে ১৫ হাজার মানুষের ওপর পরীক্ষা করানোর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। দেশটিতে প্রথম টিকা নিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান।

কিভাবে এই করোনার ভ্যাকসিন পরীক্ষায় অংশ নিলেন, সে বিষয়ে রাফি বিবিসি বাংলাকে, ”আমি রেডক্রিসেন্টের ভলান্টিয়ার হিসাবে এখানকার করোনা টেস্টিং সেন্টারে গত দুই মাস ধরে কাজ করছি। আমার দায়িত্ব যারা টেস্ট করাতে আসবেন, তার নাম-ঠিকানা কম্পিউটারে তালিকাভুক্ত করা।তিনি আরও বলেন, ”যখন জানতে পারলাম যে, করোনাভাইরাসের টিকার জন্য স্বেচ্ছাসেবী চাওয়া হচ্ছে, তখন আমিও ইন্টারনেটে নাম তালিকাভুক্ত করি। এরপর কয়েকদিন পরে আমার স্বাস্থ্য পরীক্ষা, করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়। গত ২৪ জুলাই তারিখে আমাকে টিকার প্রথম ডোজ দিয়েছে। ২১দিন পরে আবার দ্বিতীয় ডোজ দেবে।”

তিনি জানান, আবুধাবিতে বিনামূল্যে টিকার পরীক্ষায় অংশ নিতে স্বেচ্ছাসেবী চাওয়ার পর হাজার হাজার মানুষ অংশ নিতে অনলাইনে আবেদন করেছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর যাদের শরীরে গুরুতর কোন রোগ পাওয়া যাচ্ছে না, তাদেরকেই টিকা দেয়ার জন্য বাছাই করা হচ্ছে। এদের মধ্যে স্থানীয় মানুষজনই বেশি। টিকা দেয়ার পর তার হালকা মাথা ঘোরানো ছাড়া অন্য কোন সমস্যা হচ্ছে না বলে তিনি জানান।টিকা দেয়ার পর থেকেই প্রতিদিন আমাদের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করছে। কোন অসুবিধা হচ্ছে কিনা, বর্তমানে কেমন লাগছে, সেটা জানতে চাইছে। তারা সবসময় আমাদের ফলোআপে রাখছে। তিনদিন পরপর তাদের অফিসে গিয়ে আমাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে বলেছে”, বলছেন রাহাত আহমেদ।আগামী এক বছর এভাবে তাদের ফলোআপে রাখা হবে বলে আবুধাবির স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ধারণা দেয়া হয়েছে। আপাতত তাকে অন্যদের থেকে আলাদা থাকার জন্য বলা হয়েছে।তিনি ছাড়া আর কোন বাংলাদেশি এই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন বলে তার জানা নেই বলে জানান রাহাত আহমেদ।

You might also like