করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ২৫ লাখ ছাড়িয়েছে
আন্তজার্তিক ডেস্ক
সত্যবাণী
যুক্তরাষ্ট্রঃ বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ২৫ লাখ ছাড়িয়েছে।বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডো মিটারস তথ্যটি জানিয়েছে।প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে বলা হয়,করোনা ভাইরাস বৈশ্বিক মহামারিতে এ পর্যন্ত বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে।এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দুই কোটি ২৫ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪১।এর মধ্যে সাত লাখ ৯০ হাজার ৯৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে এক কোটি ৫৩ লাখ ৮৫৩ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস।উৎপত্তিস্থল চীনে ৮৩ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে।তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে।চীনের বাইরে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ দুনিয়াজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
আমেরিকার দুই মহাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ায় সংক্রমণ এখনও দ্রুত বাড়ছে।অন্যদিকে ইউরোপকে লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে করোনা কিছুটা স্তিমিত হলেও সেখানে আবারও নতুন করে রোগটির প্রাদুর্ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে।তবে আশার কথা হচ্ছে, এখন আক্রান্তের পর সুস্থ হওয়ার হার দ্রুত বাড়ছে।ওয়ার্ল্ডো মিটারসের তথ্য অনুযায়ী,এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে।সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭ লাখ ৯৩১। মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৭৬ হাজার ৩৩৭ জনের।আক্রান্তের হিসাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল।দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ লাখ ৬০ হাজার ৪১৩। এর মধ্যে এক লাখ ১১ হাজার ১৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ লাখ ৩৫ হাজার ৮২২।এর মধ্যে ৫৩ হাজার ৯৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।উৎপত্তিস্থল চীনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৪ হাজার ৮৯৫।এর মধ্যে চার হাজার ৬৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।যদিও দেশটির বিরুদ্ধে প্রকৃত পরিস্থিতি গোপন করার অভিযোগ রয়েছে।উহানের একজন স্বেচ্ছাসেবী বলেন, বুদ্ধি-বিবেচনা সম্পন্ন যে কোনো মানুষ এই সংখ্যা (সরকারি পরিসংখ্যান) নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করবেন।এ দিকে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তরুণদের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস ছড়াচ্ছে উল্লেখ করে উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বিশেষ করে যেসব তরুণের মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার পরও উপসর্গ থাকে না, তারা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের জন্য বেশি হুমকি তৈরি করছে। ১৮ আগস্ট এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক তাকেশি কাসাই এমন উদ্বেগ প্রকাশ করেন।