করোনা মোকাবেলায় কমিউনিটিতে সচেতনতামূলক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বাংলা হাউজিং এসোসিয়েশন

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

লন্ডনঃ  করোনা মোকাবেলায় কমিউনিটিতে সচেতনতামূলক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ইস্ট লন্ডনের হ্যাকনিতে অবস্থিত বাংলা হাউজিং এসোসিয়েশন। সংস্থাটি জাতীয় কোভিড লোটারি রিকভারি প্লান বাংলাদেশী কমিউনিটি নিয়ে কাজ করার জন্য মনোনীত হয়েছে। পরামর্শ প্রজেক্ট হিসেবে বাংলা হাউজিং এসোসিয়েশন ও স্পিটার্সফিল্ড হাউজিং এসোসিয়েশন যৌথভাবে বাংলাদেশীদের করোনা বিষয়ক পরামর্শ প্রদান করবে। আর এই প্রকল্পের আওতায় সহায়তা পাবে হ্যাকনি ও টাওয়ার হ্যামলেটের ১০ হাজার বাঙ্গালী পরিবারের অন্তত ৪০ হাজার বাসিন্দা।

বাংলা হাউজিং অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী বশির উদ্দিন বলেন, লন্ডনের পাবলিক হেলথ এর দেওয়া তথ্যমতে, গ্রীষ্মের সময় অন্যান্য কমিউনিটির তুলনায় বাঙালী কমিউনিটি করোনার কারনে অন্যতম ঝুকিপূর্ন কমিউনিটি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের এমন তথ্য ছড়িয়ে দিতে হবে যা মানুষের জীবন রক্ষার্থে সহায়তা করে। তাই অবশ্যই আমাদের সঠিক ও সময় উপযোগী বার্তা দিতে হবে। কোভিডের ভয়াবহ ছোবলে আমাদের পরিচিত অনেকেই মারা গেছেন। এটি পরিষ্কার যে আপনি কীভাবে সুরক্ষিত থাকবেন সে সম্পর্কে বার্তাগুলো হয়তো সঠিক ভাবে পৌছায়নি।
তিনি বলেন, মূলত বাংলাদেশী কমিউনিটির মধ্যে যারা ঝুঁকিপূর্ণ এবং ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে তাদের কাছে আমরা সঠিক বার্তা পৌছে দেবো। কোভিড-১৯ এর হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করা কতটা গুরুতর এবং আপনি যদি কোভিড থেকে রক্ষার নিয়মগুলো না মানেন তবে পরিণতি কতটা গুরুতর হতে পারে তা আমাদের কমিউনিটিকে জানানো প্রয়োজন।

আর এই কাজে সরকার আমাদের ফান্ড দিয়ে যে সহায়তা করেছে সেজন্যে ধন্যবাদ।স্পিটালফিল্ডস হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন, বিএমই লন্ডন ল্যান্ডলর্ডস গ্রুপের সদস্য,  যারা বাংলা হাউজিং এসোসিয়েশনের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে। বাংলাদেশী কোভিড পরামর্শ প্রকল্পটি ২টি কোভিড সচেতন ভিডিও বাংলা ভাষায় তৈরি করবে, বাংলা ভাষায় লিফলেটসহ বিভিন্ন তথ্য প্রচার করবে। এছাড়া হ্যাকনি এবং টাওয়ার হ্যামলেটস এনএইচএস স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে কাজ করার জন্য দু’জন কর্মী নিয়োগ করা হবে। আর এই কর্মী মূলত নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে এই দুই এলাকার বাংলাদেশী কমিউনিটির সাথে কাজ করবে।

চলতি বছরের জুলাই মাসে বিএমই লন্ডন ল্যান্ডলর্ডসের পরিচালকের বৈঠকেই বশির উদ্দিন করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে বাঙালীদের রক্ষার্তে বিএমইএলকে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহবান জানান। মূলত করোনার প্রথম ছোবলে অনেক বাঙালীর মৃত্যুর কারন ও দ্বিতীয় ছোবল থেকে বাঙালীদের কিভাবে রক্ষা করা যায় সেই উদ্দ্যেশ্যেই তিনি হাউজিং এসোসিয়েশনগুলোকে পদক্ষেপ নিতে বলেন।বাংলা হাউজিং এসোসিয়েশন ও স্পিটার্সফিল্ডস হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন মূলত এক সাথে কাজ করার বেশ কিছু উদ্দ্যেশ্য রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ন হচ্ছে, এই দুই এলাকায় অনেক বাঙালী আছে যারা এই দুই হাউজিং এসোসিয়েশনের ভাড়াটে হিসেবে বসবাস করছে।

তাই বাসিন্দাদের জরুরী প্রয়োজনে সরাসরি হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন সহায়তা করতে পারবে।বশির উদ্দিন বলেন, করোনা ঝুকি থেকে কিভাবে নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব সে বিষয়ে পরামর্শ প্রদানই আমাদের মূল লক্ষ্য। সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমেই আমরা করোনার ভয়াল থাবা থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারবো। কোভিড ১৯ পরামর্শ প্রকল্পটি চলবে ২০২১ সালে মার্চ পর্যন্ত।

You might also like