কাঠগড়ায় কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাহেদের দাবি, ‘আমি নিজেও করোনা রোগী’
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ করোনার নমুনা পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে ১০ দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।রিমান্ড শুনানি চলাকালে কাঠগড়া থেকে বিচারকের উদ্দেশে সাহেদ বলেন,আমি কি একটা কথা বলতে পারি? এটি বলেই কাঠগড়ার ভেতরে কান্নাকাটি শুরু করেন তিনি।
সাহেদ বলেন,আমি দেড় মাস ধরে করোনায় আক্রান্ত।আমার বাবা করোনায় মারা গেছেন। আমি মার্চে প্রথম দিন যখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যাই,তখন তারা আমাকে আমার হাসপাতালের লাইসেন্স নবায়ন করতে বলেন।তখন আমি বলি আমার লাইসেন্সের ঘাটতি আছে।তখন তারা বলে যে লাইসেন্স নবায়নের জন্য সোনালী ব্যাংকে টাকা জমা দেন। আমি তাদের কথা মতো টাকা জমা দেই।সারা দেশে করোনা চিকিৎসার কাজ বেসরকারিভাবে আমরাই শুরু করেছি।তারপরেও আমার সবগুলো প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তোলা হলে রিমান্ড শুনানির মাঝখানে বিচারককে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিকে বুধবার সাতক্ষীরা থেকে গ্রেফতার করে ঢাকায় আনার পর সাহেদ দাবি করেন তার বুকে ব্যথ্যা হচ্ছে।পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে তার এক্সরে ও ইসিজি করা হয়।চিকিৎসক ও র্যাব কর্মকর্তারা জানান,সব রিপোর্ট ভালো এসেছে,কোনও সমস্যা নেই।
উল্লেখ্য,বুধবার (১৫ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয় সাহেদকে।এর আগে তার খোঁজে সোমবার মৌলভীবাজারে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়।তবে সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি।গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে র্যাবের অভিযানের পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।গত ৭ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশে র্যাব রিজেন্ট হাসপাতাল ও তার মূল কার্যালয় সিলগালা করে দেয়।সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে ওই দিনই উত্তরা পশ্চিম থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।তার হাসপাতালের কার্যক্রমও সরকারের নির্দেশে বন্ধ আছে।