কুয়েতের নাগরিক হলে পাপুলের এমপি পদ বাতিল: প্রধানমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
জাতীয় সংসদ ভবন থেকেঃ লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহীদুল হোসেন পাপুল কুয়েতের নাগরিক হলে তার আসন শূন্য হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বুধবার (৮ জুলাই) সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে পাপুল কুয়েতের নাগরিক কিনা তা খতিয়ে দেখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এর আগে পাপুলের বিষয়ে স্পিকারের উদ্দেশে বিএনপির হারুন বলেন,সংবিধান অনুযায়ী বিদেশি নাগরিকত্ব অর্জনকারী বা আনুগত্য গ্রহণকারী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য নন। পাপুল কুয়েতের নাগরিক হিসেবে গ্রেফতার হয়েছেন বলে গণমাধ্যমে এসেছে। তিনি সত্যিই যদি কুয়েতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেই থাকেন তাহলে এ বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দরকার। তিনি নিশ্চয়ই সরকারি (বাংলাদেশ) পাসপোর্টে সে দেশে যাননি।তাহলে তিনি নিঃসন্দেহে বিদেশি নাগরিক।তিনি নির্বাচনের সময় তথ্য গোপন করেছেন।আজকে অপকর্মের সঙ্গে জড়িত।এ ব্যাপারে সংবিধান অনুযায়ী আপনার (স্পিকারের) যে দায়িত্ব, আশা করবো আপনার জায়গা থেকে সুস্পষ্ট ঘোষণা আসবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,যে সংসদ সদস্যের কথা বলা হচ্ছে তিনি কিন্তু স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য।তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আমাদের নমিনেশন চেয়েছিলেন।আমি দেইনি।ওই আসনটি আমরা জাতীয় পার্টিকে দিয়েছিলাম।কিন্তু তারা নির্বাচন করেননি।ওই লোক জিতে আসেন।আবার তার ওয়াইফকেও যেভাবে হোক এমপি করেছেন (সংরক্ষিত আসনের এমপি নির্বাচিত করেন)।তিনি কুয়েতের নাগরিক কিনা সেই বিষয়ে আমরা কুয়েতে কথা বলছি।সেটা দেখবো।আর সেটা হলে তার ওই সিট হয়তো খালি করতে হবে। কারণ যেটা আইনে আছে,সেটা হবে।তার বিরুদ্ধে আমরা দেশেও তদন্ত করছি।
রিজেন্ট হাসপাতালের অনিয়ম প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখানে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তা কিন্তু আমরা সরকারের পক্ষ থেকেই ধরেছি। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই কিন্তু সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। অপরাধীদের ইতোমধ্যে গ্রেফতার করেছি। মাননীয় সংসদ সদস্য এই তথ্যটা আগেভাগে জানাতে পারলে আমরা খুশি হতাম। এই তথ্যটা অন্য কেউ কিন্তু জানায়নি। আমরা সরকারের পক্ষ থেকেই এটা খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নিয়েছি। সেখানে র্যাব গিয়েছে। এসব খুঁজে বের করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
হারুন তার বক্তব্যে ৫০ লাখ পরিবারকে সরকারি আর্থিক সহায়তার জন্য তালিকা তৈরিতে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। এ বিষয়ে কে কোন দলের তা বিবেচনায় না নিয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।করোনাকালে ত্রাণ সহায়তার দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, ‘৫০ লাখ পরিবারকে আমরা যে সহায়তা দিচ্ছি তাদের তালিকা বানানো হচ্ছে। সেই তালিকা তিন দফা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।সেইসঙ্গে তাদের আইডি কার্ড ভোটার লিস্টে নাম সবকিছু মিলিয়ে তথ্য নেওয়া হচ্ছে।সবকিছু যাচাই করে যথাযথ যারা পাওয়ার তার কাছে টাকাটা পৌঁছে দিচ্ছি। এ প্রক্রিয়ায় আমাদের সময়ও লেগেছে। অন্য যে নামধাম (ভুয়া/অযোগ্য) আসছে, তা আমরা কেটেছেঁটে ফেলে দিচ্ছি।’