গাজায় হাসপাতালে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৫০০
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সত্যবাণী
লন্ডন: অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আল-আহলি আরব হাসপাতালে মঙ্গলবার ইসরায়েলি হামলায় অন্তত পাঁচশ লোকের প্রাণ গেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এমনটি বলছে।
হামাস সরকার এই হামলাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। আল জাজিরা।
৭ অক্টোবর শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় মঙ্গলবার পর্যন্ত তিন হাজার লোকের প্রাণহানির খবর জানা গিয়েছিল।
গাজার হাসপাতালে হামলার ঘটনাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে শীর্ষ ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংগঠন আল মিজান। সংগঠনটি বলছে, এটি যুদ্ধাপরাধ, সহজ কথা।
ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স বলছে, গাজা শহরের আল-আহলি হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলা ২০০৮ সাল থেকে সংঘটিত পাঁচটি যুদ্ধের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ইসরায়েলি বিমান হামলা।
অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী বাসিন্দাদের গাজা সিটি সহ উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ায় হাসপাতালগুলো শরণার্থী শিবির হয়ে উঠেছে। বাসিন্দারা এই বিশ্বাসে হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিলেন যে, হয়তো হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলা হবে না।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস আল-আহলি হাসপাতালে বোমা হামলার ঘটনায় তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা ওয়াফা।
ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক উপদল পশ্চিম তীরে বুধবার ফিলিস্তিনিদের প্রতি বাণিজ্যিক ধর্মঘট পালনের আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলছেন, গাজার আল-আহলি আরব হাসপাতালে মৃত্যুর বিষয়ে এখনও বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
তিনি বলেন, আমরা বিশদ বিবরণ পাব এবং জনসাধারণকে জানাব। এটা ইসরায়েলি বিমান হামলা কি না তা আমি বলতে জানি না।
হাসপাতালটি ছাড়াও জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলেও হামলা হয়েছে। এতে ছয়জনের প্রাণ গেছে। স্কুলটি যুদ্ধে বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়স্থল ছিল।
হাসপাতালে হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। মিশর, তুরস্ক ও কাতারও এই হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে।
বুধবার ইসরায়েলে যাওয়ার কথা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। এর আগের দিনই গাজায় হাসপাতালে এই হামলার ঘটনা ঘটল।