গোয়াইনঘাটে তরমুজ চাষ করে সহস্রাধিক পরিবার স্বাবলম্বীঃ ৮ কোটি টাকা আয়
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ গোয়াইনঘাটে তরমুজ চাষ করে সহ¯্রাধিক পরিবার স্বাবলম্বী হয়েছেন। এতে প্রায় ৮ কোটি টাকা আয় হয়েছে তরমুজ বিক্রি করে। উপজেলার সব ক’টি ইউনিয়নের ১১শ’ বিঘা জমিতে এবার তরমুজ চাষ করা হয়েছে। পূর্ব আলীরগাঁও ইউনিয়নেই শুধু ৫৬১ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে।গোয়াইনঘাট থেকে সংবাদদাতা মনজুর আহমদ জানান, একাধিক হাওর, বিলের পাড়, নদীর তীর ও ধান ক্ষেতের মাঠে প্রচুর তরমুজ চাষ করেছেন কৃষকরা। বাগান প্রতি কৃষকরা ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা ব্যয় করেছেন এবং প্রতিটি বাগান থেকে নিম্নে ২ লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন তারা। গোয়াইনঘাটে উৎপাদিত তরমুজ দেশের বিভিন্ন জেলায় এবং কিছু বিদেশেও রপ্তানি করা হয়েছে। প্রতি বছর অক্টোবর-নভেম্বর মাস থেকে কৃষকরা তরমুজ চাষ শুরু করেন এবং জানুয়ারি মাসের শেষ দিক থেকে তরমুজ কাটা শুরু করে ফেব্রুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত তরমুজ বেচাকেনা করেন।
গোয়াইনঘাটের কৃষকরা বিভিন্ন জাতের তরমুজ চাষ করে থাকেন। বিশেষ করে আনারকলি, ব্ল্যাক জায়ান্ট, সাগর, আবে ড্রাগন, সীমান্ত, ব্ল্যাক ব্রো, ব্ল্যাক সাইন, বাংলালিংক, গ্লুরি, জাম্বু, পাকিজাসহ এই জাতের তরমুজ চাষাবাদ করা হয়। প্রায় ২ যুগ ধরে এলাকায় তরমুজ চাষ হলেও গত ৪-৫ বছর থেকে উল্লেখযোগ্য জমিতে তরমুজ চাষ হচ্ছে। তবে এ বছর সবচেয়ে বেশি তরমুজ চাষ করা হয়েছে। হুদপুর গ্রামের তরমুজ চাষী হাফিজ সুলাইমান জানান, তারা ৩ জন যৌথভাবে ১০ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। এতে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। এ পর্যন্ত ৭ লাখ ৭১ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন এবং আরও বিক্রি করবেন।উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রায়হান পারভেজ রনি জানান, উপজেলায় ১১ শ’ বিঘা জমিতে এবার তরমুজ চাষ করা হয়েছে। প্রতি বিঘা জমি থেকে প্রায় ৭০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন কৃষকেরা। তিনি আরও বলেন, চাষাবাদ থেকে বিক্রয় পর্যন্ত আমার অফিস থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হয়েছে। সার বীজ ও কীটনাশকসহ সব ধরণের পরামর্শ দিয়েছি বলেও জানান তিনি।