গোয়াইনঘাটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি উপজেলার সাথে ৫ ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ফলে উপজেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।পাশাপাশি উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
হাওরাঞ্চলে বসবাসরত কয়েক হাজার মানুষ রয়েছেন পানিবন্দী। গত ১৩ জুন মঙ্গলবার ভোর থেকে টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যা যেন তিলে তিলে গ্রাস করছে সীমান্ত জনপদ গোয়াইনঘাটকে। অতিবৃষ্টির কারণে উপজেলাবাসীর মাঝে বাড়ছে বন্যার আতংক।গোয়াইনঘাট থেকে সংবাদদাতা জানান, উপজেলার উনাই হাওরে নির্মাণাধীন ব্রিজ, বঙ্গবীর টানিং ও তোয়াকুল ব্রিজ নির্মাণে ধীরগতি থাকায় তোয়াকুল, নন্দীরগাঁও, রুস্তমপুর,পশ্চিম জাফলং, সদর, পূর্ব জাফলং ও মধ্য জাফলং ইউপি’র সড়ক যোগাযোগ ুবিচ্ছিন্ন রয়েছে। এছাড়াও গোয়াইনঘাট-রাধানগর রাস্তার এক-তৃতীয়াংশ বন্যায় তলিয়ে যাওয়ায় জরুরি কাজে উপজেলা সদরে আসতে কেউ কেউ ইঞ্জিন নৌকা ব্যবহার করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিভিন্ন ইউনিয়নের হাওরাঞ্চলের হাজারও মানুষ রয়েছেন পানিবন্দী। এছাড়াও উনাই হাওরে বাইপাস সড়ক নিমজ্জিত থাকায় ওই এলাকার বাজারগুলোতে নিত্যপণ্যে সরবরাহে বিঘœ ঘটছে। ফলে জনসাধারণের দূর্ভোগ চরমে। একদিকে পানিবন্দী অন্যদিকে মানুষের কর্মসংস্থান না থাকায় দিনমজুর শ্রমিকেরা বেকার হয়ে পড়েছেন। ফলে কাটছে মানবেতর দিন। হাওরবেষ্টিত গোয়াইনঘাট উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে গো-চারণ ভূমি তলিয়ে যাওয়ায় কৃষক পরিবার তাদের গৃহপালিত পশু নিয়ে রয়েছেন শংঙ্কায়। অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢল অব্যাহত থাকলে বড় ধরণের বিপদের শংঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয় জনসাধারণ।উপজেলা ত্রাণ ও দূর্যোগ শাখার কর্মকর্তা (পিআইও) শীর্ষেন্দূ পুরকাস্থ বলেন, সরকার প্রদত্ত আমাদের পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে, উপজেলা জুড়ে ৫৬টি আশ্রয় কেন্দ্রসহ বিপুলসংখ্যক উদ্ধারকারী (রেসকিউ) টিম রয়েছে। আমরা সতর্ক দৃষ্টি রাখছি। উপজেলার সকল জনপ্রতিনিধিদের জরুরি বার্তা দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সবধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা আছে। তবে গেল বছরের ভয়াবহ বন্যার আতংকে এ বছরও শঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয়রা।

You might also like