গ্রেনেড হামলায় নিহত শহীদের স্মরণে সুনামগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবিলীগের আলোচনা সভা
শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জ থেকেঃ ২০০৪সালে বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে দলীয় সভানেত্রী ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা করা হয়। তখন দলীয় নেতাকর্মীরা তার জীবন রক্ষা করতে সক্ষম হলেও ঐ সময়টাতে আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিক বেগম আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মীরা নিহত হন। এই বর্বরোচিত ঘটনার ১৮ বছরে ও প্রকৃত খুনীদের বিচার কার্য সম্পন্ন না হওয়াতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবিলীগ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার নেতাকর্মীরা।
শনিবার দুপুরে জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবিলীগের আয়োজনে এই হতাকান্ডে নিহত সকল শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ছন বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবিলীগের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটির সহ সম্পাদক মো. ফজলুল হকের সভাপতিত্বে ও সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক মো. তৌহিদ হোসেন বাবুর সঞ্চালনায় ভার্চ্যুয়ালে ঢাকা থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে সভায় যুক্ত হন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ নুরুল হুদা মুকুট।সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,জেলা আওয়ামীলীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল,সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী আবুল কালাম,জেলা কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. মো. আব্দুল করিম,সদর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এড. মিজানুর রহমান,মৎস্যজীবিলীগ নেতা আব্দুর কাদির চৌধুরী জিলানী,জেলা মৎস্যজীবিলীগ নেতা আব্দুল মতিনসহ জেলা ও উপজেলা কমিটির নেতাকর্মীরা।
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ নুরুল হুদা মুকুট বলেছেন,১৫ই আগষ্ট ও ২১ আগষ্টের বর্বরোচিত হত্যাকান্ড হলো স্বাধীনতা বিরোধী বিএনপি জামায়াত জোটের খুশীলবরা। তারা ভেবেছিল জাতির পিতাকে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট স্বপরিবারে হত্যার মধ্যে দিয়ে এদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও উন্নয়নকে বাধাঁগ্রস্থ করে দেয়া । কিন্তু সেই স্বাধীনতা বিরোধী পেতাত্বরা ২০০৪ সালে সাথে ও বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামীলীগের জনসভায় আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার মধ্যে দিয়ে দেশে আওয়ামীলীগকে চিরদিনের জন্য নিঃচিহৃ করে দেয়া। কিন্তু ঐদিন প্রধানমন্ত্রী প্রানে বেচেঁ গেলেও ঢাকার সাবেক মেয়র মো. হানিফ ও আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিক আইভি রহমানসহ ২৪জনকে নেতাকর্মীকে জীবন দিতে হলো। অবিলম্বে ২১ শে আগষ্টে গ্রেনেড হামলা মামলার অন্যতম মদদদাতা বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট তারেক রহমানকে দেশে এনে বিচারের কার্যকরের দাবী জানান।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবিলীগের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটির সহ সম্পাদক মো. ফজলুল হক বলেছেন,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাদ দিয়ে যেমন বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত বলা যাবে না তেমনি শেখ হাসিনাকে বাদি দিয়ে দেশের উন্নয়ন চিন্তাই করা যায়নি। তাই দেশের সকল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মানুষজনকে সময় এসেছে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপি জামায়াত জোটের সকল ধরনের অপতৎপরতা রুখে দিতে রাজপথে থাকার আহবান জানান। শেষে ১৫ই আগষ্ট ঘাতকদের হাতে নিহত ও ২১ আগষ্ট আওয়ামীলীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত সকল শহীদের আত্মার রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।