ঘরমুখী মানুষের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে যা বললেন ওবায়দুল কাদের
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ করোনা সংকটের মধ্যে সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাস্তায় নামা ঘরমুখী মানুষের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘সরকার স্থানান্তর বন্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ঘর থেকে বের হয়ে কেউ আটকা পড়বেন না। সংকট মোকাবিলায় সরকারকে সহযোগিতা করুন।অন্যথায় সরকারকে আরও কঠোর অবস্থানে যেতে হবে।’বুধবার (২০ মে) দুপুরে সংসদ ভবন এলাকায় সরকারি বাসভবন থেকে এক ভিডিও বার্তায় ওবায়দুল কাদের এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও যারা দলে দলে গ্রামমুখী হচ্ছেন, নানা কৌশলে স্থানান্তরের চেষ্টা করছেন, তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, সরকার স্থানান্তর বন্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। আবারও অনুরোধ করছি, নিজ নিজ অবস্থানে থাকুন, ঘর থেকে বের হয়ে পথে আটকে পড়ার ঝুঁকি নেবেন না। তখন এদিক-ওদিক দুদিকই হারাবেন এবং ভোগান্তিতে পড়বেন। সংকট মোকাবিলায় সরকারকে সহযোগিতা করুন। অন্যথায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারকে আরও কঠোর অবস্থানে যেতে হবে।বিশ্ব করোনা পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দেশ আমাদের চেয়ে সংক্রমণ ও মৃত্যুতে অনেক ভয়াবহ অবস্থার মুখোমুখি। উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। আমি জানতে চাই পৃথিবীর কোন দেশ মৃত্যুর মিছিল ঠেকাতে পেরেছে। খোদ যুক্তরাষ্ট্রেই মৃতের সংখ্যা এক লাখ ছড়িয়েছে। যুক্তরাজ্য ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে। অর্থনৈতিক বাস্তবতায় দেশগুলো লকডাউন শিথিল করেছে। সরকার নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সংক্রমণ রোধে আপ্রাণ চেষ্টা করছে।’
বেতন পরিশোধ করুন
শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধে শিল্পমালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, এখনও অনেক শিল্প-কারখানা মালিক শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করেননি। শ্রমিকদের মাঝে বিক্ষোভ-অস্থিরতা বিরাজ করছে। প্রতিদিনই শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে আসছে যা সংকটকালে অনাকাঙ্ক্ষিত। আমি গার্মেন্টসহ অন্যান্য কারখানা মালিকদের অনুরোধ করছি যারা এখনও বেতন-ভাতা পরিশোধ করেননি, অবিলম্বে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করুন।’
কথার ফুলঝুরি ছাড়া বিএনপি জাতিকে কিছু দিতে পারেনি
চৌকস কথার ফুলঝুরি আর গলাবাজি ছাড়া দেশ ও জাতিকে বিএনপি কিছু দিতে পারেনি মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আন্দোলন ও নির্বাচনের ব্যর্থ হয়ে বৈশ্বিক সংকটকে পুঁজি করে রাজনীতির অশুভ খেলায় মেতে উঠেছে বিএনপি। শেখ হাসিনার সরকার যখন সবাইকে নিয়ে সম্মিলিত ও সমন্বিত প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে, তখন বিএনপির রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছুই দেখতে পায় না। জনগণ জানতে চায় কথামালার চাতুরি আর প্রেসব্রিফিং ছাড়া বিএনপি অসহায় মানুষের জন্য কী করেছে? চৌকস কথার ফুলঝুরি আর গলাবাজি ছাড়া দেশ ও জাতিকে বিএনপি কী দিতে পেরেছে?’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব ক্ষণে ক্ষণে বিদেশের কথা বলেন। অনেক দেশে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো করোনা তহবিল গঠন করে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। আপনারা কী করেছেন তা জাতি জানতে চায়। বরাবরের মতো নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের মরিচা ধরা অকার্যকর হাতিয়ার ব্যবহার করছেন।ত্রাণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ত্রাণ কার্যক্রমে যেকোনও অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে প্রশাসনিক, দলীয় ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ তারই সুস্পষ্ট প্রমাণ। দলীয় পরিচয় ও তাদের রক্ষা করতে পারেনি। এ বিষয়ে শেখ হাসিনা শূন্য সহিষ্ণুতার পরিচয় দিয়েছেন।’