চট্টগ্রামে সন্ধ্যার পর ফার্মেসি-নিত্যপণ্যের বাজার ছাড়া সব বন্ধ

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

চট্টগ্রাম: বন্দর নগরী চট্টগ্রামে হু হু করে বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে আনতে এখন থেকে শুধুমাত্র ফার্মেসি ও কাঁচাবাজার ছাড়া সকল প্রকারের দোকানপাট বন্ধ ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।শুক্রবার (২ এপ্রিল) বিকেলে এ সংক্রান্ত একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান। এদিন সন্ধ্যার পর থেকে কার্যকর হওয়া এই নির্দেশনা আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান বলেন, চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে ওষুধের দোকান ও কাঁচাবাজার ব্যতিত সকল দোকানপাট ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। কোন অবস্থাতেই সন্ধ্যার পর খাবার হোটেল, রেস্টুরেন্ট, শপিং সেন্টার ইত্যাদি প্রকারের দোকান খোলা রাখা যাবে না। একই স্থানে অনেক মানুষের জমায়েতও করা যাবে না। সার্বিক বিষয় মনিটরিং করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে তদারকির কাজ পরিচালনা করা হবে বলে জানান তিনি।তিনি আরো বলেন, নির্দেশনা অমান্য করলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করতে সবার আগে সাধারণ মানুষের সচেতনতা জরুরি।এর আগে বৃহস্পতিবার ও বুধবার নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত পুলিশ টহল দিয়ে আড্ডা ও লোক সমাগম না করতে প্রচারণা চালায়।

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য মতে, শুক্রবার নতুন করে আরও ৫১৮ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারীর শুরুর পর চট্টগ্রাম জেলায় একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক শনাক্তের সংখ্যা এটি। এর আগে গত বছরের ২৯ জুন চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ ৪৪৫ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।সংক্রমণের হার বাড়তে থাকায় ইতিমধ্যে নগরীর সব বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি জনসমাগম হয় এমন যে কোনো আয়োজন পরিহার করতে বৃহস্পতিবার নির্দেশনা দেয় জেলা প্রশাসন। এরপরও শুক্রবার মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ঘিরে ভিড় ছিল। দুপুরে নগরীর আন্দরকিল্লা জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ সমাবেশও করে হেফাজতে ইসলাম। একই সময়ে হাটহাজারী মাদ্রাসার সামনে সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে হাজার খানেক লোকের জমায়েত নিয়ে বিক্ষোভ করেন হেফাজত নেতারা।

You might also like