চতুর্থ ধাপে ভাসানচর পৌঁছেছেন ২০১০ রোহিঙ্গা

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

নোয়াখালীঃ চতুর্থ দফায় নোয়াখালীর ভাসানচরে পৌঁছেছেন আরও ২ হাজার ১০ জন রোহিঙ্গা।সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ২টার দিকে পাঁচটি জাহাজে চট্টগ্রাম থেকে এসব রোহিঙ্গা ভাসানচরে পৌঁছায়। তাদের মধ্যে ৪৮৫ জন নারী, ৫৭৭ জন পুরুষসহ ৯৪৮ জন শিশু রয়েছে।

এর আগে একই দিন সকাল ৯টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার নৌবাহিনীর রেডি রেসপন্স বার্থ থেকে থেকে তাদের নিয়ে ৫টি জাহাজ ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।একদিন আগে রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সড়ক পথে তারা চট্টগ্রাম এসে পৌঁছান। পরে রাতে তাদের বিএএফ শাহীন কলেজ মাঠের অস্থায়ী ক্যাম্পে রাখা হয়। চতুর্থ দফায় ধাপে ধাপে প্রায় ৪ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে আনা হবে বলে জানা গেছে।বিষয়টি নিশ্চিত করে ভাসানচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাহে আলম দৈনিক অধিকারকে জানান, রোহিঙ্গাদের জাহাজ থেকে নামিয়ে প্রাথমিক মেডিকেল পরীক্ষা শেষে গাড়িযোগে ওয়্যার হাউজে সমবেত করে ব্রিফ প্রদান করা হয়েছে। পরে ভাসানচরের ক্লাস্টারে স্থানান্তর করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৪ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে আনুষ্ঠানিকভাবে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে পৌঁছে ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গাদের জন্য প্রস্তুত ৭, ৮, ৯ ও ১০ নম্বর ক্লাস্টারে তাদের রাখা হয়। প্রথম ধাপে ভাষানচরে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৮১০ জন শিশু, ৩৬৮ জন পুরুষ ও ৪৬৪ জন নারী রয়েছেন।গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় কক্সবাজার থেকে আরও ১ হাজার ৮০৪ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে পৌঁছায়। তাদের মধ্যে ১৩০ জনের বেশী রয়েছে প্রথম দফায় যাওয়া রোহিঙ্গাদের স্বজন।এ দিকে, গত বছরের ৮ মে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জল সীমায় ভাসতে থাকা ২৭৭ রোহিঙ্গাদের আরও একটি দলকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। কক্সবাজারের বঙ্গোপসাগরে বোটে ভাসমান অবস্থা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা দলটিতে ৯২ জন পুরুষ, ১৫৭ জন নারী ও ২৮ জন শিশু ছিল।

অন্যদিকে, গত ২৯ জানুয়ারি ভাসানচরে এসে পৌঁছান ১ হাজার ৭৭৬ জন রোহিঙ্গা। এদের মধ্যে পুরুষ ৪০৪ জন, নারী ৫১০ জন এবং ৮৬২ জন শিশু রয়েছে। পরদিন ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফায় দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ১ হাজার ৪৬৭ জন রোহিঙ্গা এসে পৌঁছায়। এদের মধ্যে পুরুষ ৩৪৭ জন, নারী ৪০৫ জন এবং ৭১৫ জন শিশু ছিল।২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল হাতিয়ায় মেঘনা নদীর বুকে জেগে উঠা ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ শেষ হয়। একই বছরের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হওয়ার কথা থাকলেও আগেই শেষ হয় সকল অবকাঠামো নির্মাণ। হাতিয়া থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে ১৩ হাজার বর্গ কিলোমিটার দ্বীপের এই আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১২০টি গুচ্ছগ্রাম রয়েছে। এটিকে ১ লাখ রোহিঙ্গাদের বাসযোগ্য রূপে তৈরি করা হয়েছে।

You might also like