চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে আজ উদযাপিত হচ্ছে ঈদ
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
চাঁদপুরঃ ১৯৩১ সাল থেকে শুরু করে দীর্ঘ ৯০ বছর ধরে চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে অগ্রিম ইদ উদযাপন করে আসছে সেখানকার একটি ধর্মান্ধ গোষ্ঠী। আর এতে যুগযুগ ধরে বিনষ্ট হচ্ছে মুসলিম উম্মার ধর্মীয় ঐক্য ও মূল্যবোধ বলে দাবি ইসলামি চিন্তাবিদদের।১৯৩১ সালে অঞ্চলটিতে এ ধারার প্রথম প্রচলন শুরু করেন হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা গ্রামের সাদ্রা দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা পীর মরহুম মাওলানা ইসহাক খান। এরপর সেখানকার বড় হুজুর মরহুম মাও. আবু যোফার মো. আব্দুল হাই সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখেন।এ দিকে অন্যান্য বছর সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ইদ উদযাপন করলেও এবার একদিন আগেই বুধবার (১২ মে) ইদ উদযাপন করল সাদ্রা দরবার শরীফের অনুসারীরা। ফলে তাদের ২৯ রোজা পূর্ণ হয়েছে। সাদ্রা দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা পীর মরহুম মাওলানা ইসহাক খানের ৬ ছেলের মধ্যে বর্তমান পীর মাও. মুফতি জাকারিয়া আল মাদানিসহ ৪ ছেলে ইদ উদযাপন করে।
তবে সাদ্রা দরবার শরীফের বড় হুজুর মরহুম মাও. আবু যোফার মো. আব্দুল হাইয়ের অনুসারীরা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ৩০ রোজা পূর্ণ করে বৃহস্পতিবার (১৩ মে) ইদ উদযাপন করছে। এবার ইদের নামাজের ইমামতি করেছেন মরহুমের ছেলে মাও. আরিফ হোসেন।দীর্ঘ প্রায় এক শতাব্দী সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ইদ পালন করলেও এ বছর ব্যতিক্রম কেন এমন প্রশ্ন করলে এ বিষয়ে সাদ্রা দরবার শরীফের বর্তমান পীরের ছেলে সাহেবজাদা ড. বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী বলেন, সৌদি আরব নয়, কুরআন ও হাদিসের আলোকে চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে আমরা রোজা পালন ও ইদ উদযাপন করে থাকি।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার (১১ মে) নাইজার, সোমালিয়া ও পাকিস্তানের একটি প্রদেশে চাঁদ দেখা গেছে। তারা ১২ এপ্রিল ইদ উদযাপন করেছে। তাই আমরাও ইদ উদযাপন করেছি।দরবার শরীফের পীর মাও. জাকারিয়া আল মাদানি ও এক দিন আগে ইদ পালনের তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।এবার সাদ্রা ছাড়াও একদিন আগে রোজা ও ইদ উদযাপন করা গ্রামগুলো হচ্ছে- হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বরকুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর। ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম।
উল্লেখ্য, চাঁদপুরের পাশের নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা ও শরীয়তপুর জেলার কয়েকটি স্থানে মাওলানা ইসহাক খানের অনুসারীরা একদিন আগে ঈদ উদযাপন করে আসছে। মুসলিম বিশ্বের ঐতিহ্য ভঙ্গ করে এমন ইদ উদযাপনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এখানকার ইসলাম প্রিয় জনতা।