চার সন্তানের পিতাকে বিয়ে করে চমকে দিয়েছিলেন ড্রিমগার্ল
সর্বপ্রথম তারা ১৯৭০ সালে ‘তুম হাসিন ম্যায় জওয়ান’ ছবিতে জুটি বাঁধেন।এরপর ‘শোলে’সহ আরও অনেক সুপারহিট ছবিতে জুটি হন বলিউডের পাওয়ার ম্যান ধর্মেন্দ্র ও ড্রিম গার্ল হেমা মালিনি।সিনেমায় কাজ করতে করতেই প্রেম। অতঃপর হুট করেই তারা বিয়ে করে নেন।সেই দাম্পত্যের ৪০ বছর পূর্তি হলো ২ মে।বলিউডের মিষ্টি এই জুটিকে শুভেচ্ছায় ভাসিয়েছেন তাদের ভক্ত-অনুরাগীরা।
বাবা-মায়ের পুরনো ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন তাদের দুই মেয়ে এষা ও আহানা। লিখেছেন, বাবা-মায়ের জন্য অনেক ভালোবাসা এবং দীর্ঘায়ুর কথা।
এদিকে আলোচনায় উঠে এসেছে আবারও সেই পুরনো।প্রেম কাহিনি। যেখানে হেমা ছিলেন জিতেন্দ্রর প্রেমিকা ও বাগদত্তা। সেই বিয়ে ভেঙ্গে দিয়ে চার সন্তানের জনক ধর্মেন্দ্রকে বিয়ে করেন এই অভিনেত্রী।জানা যায়, সত্তর দশকে ধর্মেন্দ্র ও হেমা দু’জনেই ক্যারিয়ারের শীর্ষে। পর্দার মতো পর্দার বাইরেও সে সময় তাদের প্রেমের রসায়ন তুঙ্গে। ড্রিম গার্লকে দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ না করে পারেননি সহঅভিনেতা ধর্মেন্দ্র। কিন্তু প্রথম দিকে হেমা নিজের আবেগ প্রকাশ করতেন না।
এদিকে ইন্ডাস্ট্রিতে হেমার গুণমুগ্ধ ছিলেন আরও অনেক নায়ক। সহঅভিনেতা জিতেন্দ্র, সঞ্জীব কুমারেরও তার প্রতি দুর্বলতা ছিল। পাত্র হিসেবে জিতেন্দ্রকে পছন্দ ছিল হেমার বাবা মায়েরও।
বিশেষ করে ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে মেয়ের বিয়েতে একেবারেই মত ছিল না হেমার মা জয়া লক্ষ্মীর। তিনি তড়িঘড়ি জিতেন্দ্রর সঙ্গে মেয়ের বিয়ে ঠিক করে ফেলেন। যাতে বিবাহিত ধর্মেন্দ্রর কাছ থেকে সরিয়ে আনা যায় হেমাকে। শোনা যায়, সে দিনের মাদ্রাজ, আজকের চেন্নাইয়ে হেমা-জিতেন্দ্রর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। জিতেন্দ্রর পরিবারেও পাত্রী হিসেবে হেমা ছিলেন বিশেষ পছন্দের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যায় সেই বিয়ে।অনেক নাটকের পর ১৯৮০ সালের ২ মে হেমা মালা বদল করে নেন বিবাহিত ধর্মেন্দ্রর সঙ্গেই। যা তার পরিবার তো বটেই, অবাক করে দিয়েছিলো ভারতবর্ষকেই। অনেকেই নাকি বিরক্ত হয়ে বলেওছিলেন, এই অসম বিয়ে টিকবে না। কিন্তু কালের স্রোতে এই দম্পতি ৪০ বছর পার করে দিলেন এক ছাদের নিচে।শোনা যায়, দু’জনেই বিয়ের আগে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন।