চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন সহযোগিতার অর্থ চেয়ারম্যানের পকেটে?

সিলেট অফিস 
সত্যবাণী

সিলেট: মৌলভীবাজারে চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন সহযোগিতার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে চাঁদনীঘাট ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গভর্নমেন্ট টু পাবলিক (জিটুপি) পদ্ধতিতে সরাসরি চা শ্রমিকের হাতে নগদ অর্থ যাওয়ার কথা থাকলেও তা চলে গেছে ইউপি চেয়ারম্যানের হাতে। এ ঘটনায় অর্থ বিতরণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
সমাজসেবা অফিস সূত্র জানায়, প্রকৃত দুঃস্থ চা-শ্রমিকদের শনাক্ত করে সমাজসেবা অধিদপ্তর নীতিমালা অনুসরণ করে প্রকৃত দুঃস্থ ও অসহায় ব্যক্তিদের তালিকা প্রণয়ন করে এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়। এই কার্যক্রমে জিটুপি পদ্ধতিতে এজেন্ট ব্যাংকিং ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা সরাসরি চা শ্রমিকের অ্যাকাউন্টে প্রদান করা হয়। অনুদানপ্রাপ্ত ব্যক্তি এককালীন নগদ ৫ হাজার টাকা পাবেন।
বিকাশের মাধ্যমে সরাসরি টাকা পাঠানোর পদ্ধতি চালু থাকলেও মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলায় পুরাতন পদ্ধতিতে ব্যাংক এশিয়ার এজেন্টের মাধ্যমে টাকা প্রদান করা হয়। এই পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট এজেন্ট গ্রাহকের ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে নগদ অর্থ প্রদান করেন।
সরেজমিনে অনুসন্ধান করে মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা জানান, জেলার সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউপি চেয়ারম্যান আখতার উদ্দিন গ্রাহকের টাকা নিজেই এজেন্টের কাছ থেকে উত্তোলন করেন। সেই টাকা বিতরণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তখন‌ই প্রশ্ন ওঠে অনুদান প্রদানের স্বচ্ছতা নিয়ে।
জানা গেছে, নিয়ম চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট ফিঙ্গার নিয়ে সরাসরি গ্রাহককে টাকা প্রদান করা। কিন্তু নীতিমালা লঙ্ঘন করে এই টাকা ইউপি চেয়ারম্যানের হাতে তুলে দিয়েছে ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট।‌
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক হামিদিয়া চা বাগানের জনৈক শ্রমিক বলেন, আমার মোবাইলে এস‌এম‌এস আসলে ওই দিন ইউনিয়নে যাই। ৫ হাজার টাকা পাওয়ার কথা কিন্তু পেলাম ৪ হাজার টাকা। চেয়ারম্যান নিজের হাতে টাকার নোট দিয়েছেন।
এ বিষয়ে চাঁদনীঘাট ইউপি চেয়ারম্যান আখতার উদ্দিন বলেন, আমার ইউনিয়নের ১৭২ জন চা শ্রমিকের জীবনমান উন্নয়নের অনুদানের তালিকা পাঠিয়েছি। তালিকা অনুযায়ী টাকা এসেছে, আমি কত তারিখ বিতরণ করেছি সঠিক বলতে পারব না। এটা আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম।
মৌলভীবাজার জেলা সমাজসেবা অফিসের উপ-পরিচালক হাবিবুর রহমান বলেন, সদর উপজেলায় বিকাশ পদ্ধতি এখনো চালু হয়নি। ব্যাংক এশিয়ার এজেন্টের মাধ্যমে গ্রাহক টাকা তোলার কথা। সরাসরি ফিঙ্গার নিয়ে এজেন্ট গ্রাহকের হাতে টাকা তুলে দেবেন। এর বাইরে কারো হাতে টাকা দেয়ার কথা নয়। এরকম কিছু হলে এজেন্টের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।

You might also like