ছাতকের ধারন বাজারে গ্রামীন ফোন ইন্টারনেট বিভ্রাট-নিরব কতৃপক্ষ
শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ধারন বাজার এলাকায় গ্রামীণফোন নেটওয়ার্ক বিভ্রাটে অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন গ্রাহকরা। দীর্ঘদিন ধরে নেটওয়ার্ক বিড়ম্বার শিকার এখানকার গ্রামীন ফোন গ্রাহকরা অতিষ্ট হয়ে উঠছেন। এখানে গ্রামীনফোন কোম্পানীর টাওয়ার খুবই দুর্বল। ব্যাবসায়ীক এই এলাকা ধারনবাজার, কাকুরা, সেওতরপাড়া, নাদামপুর,বিলচড়া, পলিটুক, হলিরগাঁও, মৈশাপুর, রাজারগাঁও, সৈদেরগাঁও ধারনসহ কয়েকটি গ্রামে এক বছরের অধিক সময় ধরে চলছে নেটওয়ার্ক সমস্যা। এখানে রয়েছে স্কুল, মাদরাসা, ব্যাংক, বীমাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্টান। বর্তমানে নেটওয়ার্কের এ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করছে। অপরদিকে বিদ্যুৎ না থাকলে নেটওয়ার্ক একবারেই থাকেনা। করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের অনলাইন পাঠদান কার্যক্রমে যুক্ত হতে পারছেন না।
গ্রাহকদের অভিযোগ গ্রামীন ফোনের সার্ভিস সেন্টারে নিয়োজিত কর্মীরা এর সঠিক সমাধান দিতে পারছে না। ডিজিটাল যুগে এমন নেটওয়ার্ক বিভ্রাট গ্রাহকরা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। এলাকার বিভিন্ন বিভিন্ন গ্রাম ও ধারন বাজার এলাকা ধেকে গ্রামীন ফোন গ্রাহক রেষ্ট্রুরেন্ট ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন, হোসেন আহমদ, ছৈল মিয়া, আবুল কাশেম, ব্যবসায়ী সেলিম আহমদ, হোসেন আহমদ, লাল মিয়া, জানান, স্থান ভেদে নেটওয়ার্ক আপ-ডাউন করছে। বর্তমানে ইন্টারনেট একেবারে ধীরগতির হয়ে গেছে। এ পরিস্থিতির মধ্যে এ অবস্থা থেকে উত্তরণের দাবি জানিয়েছেন তারা। নেটওয়ার্ক সমস্যার বিষয়ে জানতে গ্রামীন ফোনের ১২১ নাম্বারে কল দিয়ে অভিযোগ করার প্রায় দুই বছর পেরিয়ে গেলেও ব্যবস্থা নেয়নি গ্রামীণ ফোন কতৃপক্ষ এ অভিযোগও রয়েছে। এলাকাজুড়ে গ্রামীন ফোনের নেটওয়ার্কের খুবই খারাপ অবস্থা। গ্রামীণ ফোন সিম নম্বর ব্যবহারকারীরা রীতিমত চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
এখানে কয়েক হাজার মানুষ গ্রামীনফোনের সিম ব্যবহার করে। তারপরও কোম্পানী বিষয়টি নজরে নিচ্ছেন না। গ্রামীন সিমের নেটওয়ার্ক এ অবস্থা চলতে থাকলে গ্রামীনফোন সিম ব্যবহারকারী গ্রাহকরা সিম বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবেন। সিমের এমন বাজে সার্ভিসের জন্য এখানকার সংবাদ মাধ্যম কর্মীরা মারাত্বক অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন। নেটওয়ার্ক সমস্যার কারনে সঠিক সময়ে সংবাদ আদান প্রদান করতে পারছেন না। গ্রামীনফোন কর্তৃপক্ষ দ্রুততার সহিত বিষয়টি জরুরী আমলে নিয়ে ভোগান্তি দুর করবেন বলে এমনটাই আশা করছেন এলাকাবাসি।