ছাতকে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সভা অনুষ্টিত
শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জের ছাতকে ছৈলা-আফজালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান,উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক গয়াছ আহমদ বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে এক সভা অনুষ্টিত হয়েছে।রোববার বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী র্কাালয়ে এ সভা অনুষ্টিত হয়।ইউনিয়ন পরিষদের সচিব বিপ্লব রায় এর সঞ্চালনায় ও ইউপি চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য ফিরোজ আলী, সাবেক ইউপি সদস্য ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আজিজুর রহমান, ইউপি সদস্য আব্দুল ওয়াহিদ, আবুল হোসেন, মিলন ধর, শেখ নোয়াব আলী, মো. আব্দুল মতিন, মো. দিদার আলম, জহির আলী, লাল মিয়া, মহিলা সদস্যা রুনা বেগম, আসমা আক্তার রিমা, চন্দ্রমালা বেগম প্রমুখ।
ইউপি চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদ বলেন, ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠা ভূয়া অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে একটি সংবাদ গত শুক্রবার আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যা মিথ্যা বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও মানহানীকর বটে। দিলোয়র হোসেনের ভবন ভাড়া নিয়ে ছৈলা-আফজালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। চেকের মাধ্যমে ভাড়া পরিশোধ করে আসছি। সর্বশেষ ২০২০ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্ভর মাসের ভাড়া চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করেছি গত ৯ মার্চ। দিলোয়ার হোসেন প্রবাসে থাকায় প্রতিটি চেক তার ছেলে এনামুল হক স্বাক্ষর করে নিয়ে থাকেন। নভেম্বর ও ডিসেম্ভর মাসের চেক স্বাক্ষর করে গ্রহন করেছেন তার ফুফত ভাই আব্দুল করিম।
তিনি আরও বলেন, চলতি মাসসহ ৫ মাসের ভাড়া বকেয়া রয়েছে। এই ৫ মাসের ভাড়ার টাকা চেকের মাধ্যমে দিতে চাইলে দিলোয়ার হোসেন নিচ্ছেননা। তিনি ক্যাশ টাকা নিতে চাইছেন। দিলোয়ার হোসেন ভবনের তৃতীয় তলার নির্মান কাজ করেছেন। আমার কাছে ভবনের একটি চাবি ও তার কাছে ভবনের দুটি চাবি রয়েছে। জবর দখলের প্রশ্নই উঠেনা। স্থানীয় ভাবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্ত দেলোয়ার হোসেন তার কিছুই মানছেননা। তিনি অবৈধ ভাবে উপার্জনের মাধ্যমে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেছেন। এখন অর্থ অহমিকা অহংকারী হয়ে গেছেন। মানুষকে মানুষ হিসেবে মনে করছেন না। গয়াছ আহমদ আরও বলেন, স্থায়ী ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মান শেষ হলেই এখানে অস্থায়ী কার্যালয়ে থেকে ভাড়া দিতে হবেনা। দিলোয়ার হোসেন আমার বিরুদ্ধে জেলা প্রসাশক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, র্যাব ও থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন।এসব মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন গয়াছ আহমদ।ভিন্ন উদ্দেশ্যে মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও মানহানীকর সংবাদ পরিবেশন করায় ভূয়া অনলাইন সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহন করবেন বলে জানান তিনি।