ছাতকে গরিবের গরিবী ১০ টাকার ইফতার চালু
শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জের ছাতকে বেকার যুবকদের উদ্যোগে হতদরিদ্র, ভিক্ষুক, ছিন্নমূলসহ শতশত মানুষকে একশত টাকার মুল্যে ১০ টাকার গরীবের গরিবী ইফতার প্যাকেট বিক্রি চালু করেছে ফুড ব্যাংকিং টিম। ১০টাকার ইফতারের মধ্যে রয়েছে পলিথিনের প্যাকেটে ছোলা, মুড়ি, একটি করে বেগুনি, জিলাপি, পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ খেজুর খিচুরীসহ আধা লিটার পানির বোতলসহ। সব মিলিয়ে দাম ১০ টাকা। ১০ রকমের বাহারি ইফতার প্যাকেট হতদরিদ্র মানুষরা অনেকেই কিনছেন। সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কের নানা শ্রেনীর মানুষ মধ্যে ফুড ব্যাংকিং টিম তাদের কাছ বিক্রি করছেন। প্যাকেটের সঙ্গে রয়েছে আধা লিটার পানির বোতলসহ ইফতারি কিনেই সন্তুষ্ট হতদরিদ্র মানুষ।গত বোববার বিকালে উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্ট এলাকার ফুড ব্যাংকিং টিমের উদ্যোগে হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে এ ইফতার চালু করা হয়।
এ ব্যাপারে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধি ভিক্ষুক আব্দুস সামাদ (৪০) ও হতদরিদ্র রহিমা বেগম(৪০) বলেন, ‘আইজ ১০ ট্যাহা দিয়ে বড় এক প্যাকেট ও আধা লিটার পানিসহ ইফতার কিনছি। এটা প্রতিদিন চালু রাখার দাবি করেন তারা।ছাতকে গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় শত শত হত দরিদ্রদের কাছে মাত্র ১০টাকায় ইফতার বিক্রির ঘটনায় বেরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মানিক মিয়া, নুরুল হক ও শিক্ষক রেজ্জাদ আহমদসহ নানা শ্রেনীর মানুষ ফুড ব্যাংকিং টিমকে স্বাগতম জানাচ্ছেন।এরই ঠিক উল্টোচিত্র দেখা যায়, ফুড ব্যাংকিং টিমের ব্যতিক্রমী উদ্যোগের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইস বুকে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। ১০টাকার গরীবের গরীবী ইফতার নিয়ে দেশ বিদেশে আলোচানা ও সমালোচানর ঝড় বইছে।এ দিকে গোবিন্দগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্ট এলাকায় আল্লাহ চত্বরের পাশে বাসা বেধেছে একদল বেদে পরিবার। প্রায় ২০ থেকে ২৫টি পরিবার এখানে বসবাস করছে। কথা হয় স্বামী পরিত্যক্ত রুবি (৪০) সঙ্গে। ক্ষোভের সঙ্গেই বলেন, ‘পেটে ভাত নাই, পরনে ছেঁড়া কাপড়, আবার ছেলেটা অসুখ, গরিবের আবার রোজা কী? আমরা তো সারা বছরই রোজা থাকি।টোকাই, ছিন্নমূলসহ শতশত মানুষ ইফতারি না কিনতে পেরে প্রতিদিন মাগরিবের আজানের আগে মসজিদ, দোকান ও মানুষের বাসার দরজায় ভিড় জমান। সারাদিন রোজা শেষে ইফতারির জন্য এ গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় অসংখ্য মানুষ এক গ্লাস বিশুদ্ধপানি জোগাড়ের জন্যেও সংগ্রামে নামেন। প্রধান সমন্বয়ক তরুন তোফায়েল আহমেদ, রবিউল,আবির, ছাব্বির, তৈয়বুর, রুবেল, রায়হান, কাওছার, আলী,আল আমিনসহ সদস্য ফুড ব্যাংকিং টিমের ১০ যুবক এ মহতি উদ্যোগে কাযক্রম চালু করেন গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় ।