ছাতকে চরমহল্লা ইউনিয়নে ১০ কেজি’র স্থলে সাড়ে ৮ কেজি করে চাল বিতরন
শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার চরমহল্লা ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার চাল বিতরনে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।মঙ্গলবার ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন আচাকাছর বাজারে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ১০ কেজি করে ১৮ টন চাল ইউনিয়নের ১৮শত হতদরিদ্র মানুষের মাঝে বিতরন কার্যক্রমে এ অনিয়মের ঘটনা ঘটে। চরমহল্লা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হাসনাত ও ট্যাগ অফিসার প্রণব লাল দাস’র উপস্থিতিতে ১০ কেজি চালের স্থলে ৯ কেজি ও সাড়ে ৯ কেজি করে চাল বিতরন করা হয় অভিযোগ উঠেছে।
করোনা ভাইরাস ঝুঁকি উপেক্ষা করে একই দিনে ইউনিয়ের ১৮শত মানুষকে ডেকে সমবেত করায় বিতরন কার্যক্রম বাঁধাগ্রস্থ হয়। শতকরা ৮০ ভাগ মানুষের মুখে মাস্ক ছিলনা। চাল নিতে আসা নারী-পুরুষ চরম ভোগান্তির শিকার হন। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অপক্ষো করে হতাশ হয়ে অনেকেই চাল না নিয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরে যান।
চাল বিতরন কালে আচাকাছর বাজারে একটি দোকানের ডিজিটাল পরিমাপ যন্ত্রে পরিমান করে দেখা যায়, ১০ কেজি চালের স্থলে ৯ কেজি ও সাড়ে ৯ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হাসনাতকে পরিমাপের বিষয়টি দেখে যাওয়ার জন্য বলা হলে তিনি আসতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হাসনাতের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।তবে অনেকেই ভয়ে তার বিরুদ্ধে মুখ খুরতে নারাজ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যাক্তি জানান, তিনি বিএনপি দলীয় লোক। স্থানীয় ভাবে সরকার দলীয় কতিপয় নেতাকে ম্যানেজ করে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার প্রাপ্তি থেকে হতদরিদ্র মানুষকে বঞ্চিত করছেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ইমন খাঁন বলেন, আমি বার বার যোগাযোগ করেও কোন সহায়তা পাইনি। লন্ডন, ফ্রান্স, সৌদি আরব, দুবাই প্রবাসী পরিবারের সদস্যদের নাম তালিকাভুক্তি করেছেন চেয়ারম্যান।জুয়েল, ফরিদ, মতিন, সুহেল, রইছ মিয়া, আমির খাঁন বলেন, ১০ কেজির স্থলে সাড়ে ৮ কেজি, ৯ কেজি ও সাড়ে ৯ কেজি দেওয়া হচ্ছে। এ যেনো দেখার কেউ নেই।
মশরফ আলী বলেন, আমার নিজের কোন ঘর নাই, বাড়ী নাই। অসহায় অবস্থায় আছি কোন কার্ড বা ভাতা নেই। অনেক কষ্ট করে ৯ কেজি চাল পেয়েছি, তাও ১ কেজি কম। আমার প্রতিবন্দি ছেলে সৈয়দুর রহমানকে ভাতা দেওয়ার জন্য বলেছিলাম। ১ হাজার টাকা দিতে হবে আমাকে বলা হয়েছে। আমি টাকা দিতে পারিনি তাই ভাতাও পাইনি।
এ বিষয়ে বলেন, পরিমাপ করা বালতি দিয়ে বিতরন করা হচ্ছে।চরমহল্লা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হাসনাত বলেন, নির্ধারিত পৃথক সময়ে না এসে সবাই এক সাথে চলে এসেছেন।ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম কবির বলেন, ২ দিনে বিতরন করার জন্য বলা হয়েছে। বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।