ছাতকে নিখোঁজ গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বামী আটক

শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী

সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জের ছাতকে নিখোঁজ হওয়ার ২৪ ঘন্টা পর স্বামীর বাড়ির পুকুর থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলার দোলারবাজার ইউনিয়নের কাটাশলা গ্রামের সমর আলীর ছেলে সুমন মিয়ার বসত ঘর থেকে প্রায় সাড়ে তিনশত ফুট দুরে একটি পুকুরের পানি থেকে ঐ গৃহবধুর ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়।নিহত নাজমিন বেগম (২৬) ছৈলা আফজলাবাদ ইউনিয়নের লাকেশ্বর গ্রামের ছুরাব আলীর কন্যা। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী সুমন মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।

জানা যায়, গত রবিবার (৩ অক্টোবর) সকালে স্বামীর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন গৃহবধূ নাজমিন বেগম। একদিন পর (৪ অক্টোবর) সোমবার সকালে নিখোঁজ গৃহবধুর লাশ তার স্বামী বাড়ির পাশে একটি পুকুরে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করা হয়।উপজেলার ছৈলা আফজলাবাদ ইউনিয়নের লাকেশ্বর গ্রামের ছুরাব আলীর কন্যা নাজমিন বেগমকে প্রায় চার বছর আগে বিয়ে দেন একই উপজেলার দোলারবাজার ইউনিয়নের কাটাশলা গ্রামের সমর আলীর পুত্র সুমনের সাথে। মোজাম্মেল নামের ৯মাসের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে তাদের। সম্প্রতি ওই গৃহবধূকে মারধরসহ নির্যাতনের অভিযোগ উঠে পরিবারের বিরুদ্ধে। অন্য মেয়ের সাথে পরকীয়া আসক্ত থাকার অভিযোগ দিতেন স্বামীর নামে । যে কারণে গত ১৭ সেপ্টেম্বর পুত্রকে নিয়ে পিত্রালয়ে চলে যান নাজমিন। পারিবারিকভাবে বিষয়টি নিস্পত্তি করে ২ অক্টোবর পুত্র বধূকে বাড়িতে নিয়ে আসেন শশুর সমর আলী। কিন্তু ৩ অক্টোবর সকালে তাদের কন্যাকে পাওয়া যাচ্ছেনা বলে জানানো হয় ছুরাব আলীর পরিবারকে।

এ বিষয়ে ছুরাব আলী বাদি হয়ে জামাতা সুমন মিয়া, তার পিতা সমর আলী ও মাতা দিলারা বেগমকে অভিযুক্ত করে ওইদিন রাতেই ছাতক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ব্যাপারে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ নাজিম উদ্দিন জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী সুমন মিয়াকে আটক করা হয়েছে। হত্যা না আত্মহত্যা এ বিষয়ে কিছুই বলা যাচ্ছে না। লাশের ময়না তদন্তে সুনামগঞ্জ পাটানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। আপাদত থানায় অপমৃত্যুর মামলা নেয়া হবে।

You might also like