ছাতকে পুলিশের বিরুদ্ধে ভাংচুর, লুটপাট ও মারধর করার অভিযোগ
শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জের ছাতকে জাউয়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আহমেদ উল্লা ভূইয়া ও এ এস আই সুজন এর যোগসাজেসে টিনশেডের ঘরের চাল, বেড়া, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত রোববার (১৪ মে) সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন উপজেলার জাউয়া বাজার ইউনিয়নের বিনন্দপুর গ্রামের মৃত. জোনাব আলীর ছেলে আব্দুল সালাম।অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, একই গ্রামের আলী হোসেন ও মানিক মিয়া গংদের সাথে আব্দুল সালামের কোর্টে মামলা মোকদ্দমা চলমান রয়েছে। বিজ্ঞ আদালত কতৃক ১৪৪ ধারা জারি থাকা স্বত্বেও আইন অমান্য করে গত ২৬ এপ্রিল আনুমানিক সকাল ১১ ঘটিকার সময় প্রতিপক্ষের লোকজন আব্দুল সালামের টিনশেডের ঘরের চাল, বেড়া, ভাংচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় আব্দুল সালামের পরিবারের সদস্যদের মারপিট করে আহত করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিন-ই আব্দুল সালামের ছেলের বউ খাদিজা বেগম (জখমি) বাদী হয়ে ছাতক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই দিন রাত আনুমানিক ১১ঘটিকার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এএসপি সার্কেল (ছাতক-দোয়ারা) রনজয় চন্দ্র মল্লিক, জাউয়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আহমেদ উল্লা ভূইয়া। পরদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এসআই আতিক। তার পর থেকে জাউয়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে এসআই আতিক এর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার পরও অব্দুল সালামের দায়েরি অভিযোগ আজ পর্যন্ত থানায় রুজ্জু করা হয়নি এমনকি কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এই অভিযোগ রুজ্জু করা যাবেনা। আদালতে গিয়ে মামলা করার জন্য আব্দুল সালামকে বলা হয়েছে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
ঘটনার আনুমানিক দু-দিন আগে জাউয়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আহমেদ উল্লা ভূইয়া আব্দুল সালাম ও তার স্ত্রী আফিয়া বেগমকে ডেকে নেন। এসময় তাদের টিনশেডের ঘর ভেঙ্গে ফেলার জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়। ইন্সপেক্টর আহমেদ উল্লা ভূইয়ার সামনে এ এস আই সুজন বলেন ১০ হাজার টাকা দিয়ে দিবো তার পরও ঘর ভেঙ্গে ফেলেন আর আমরাও কিছু রুজি করে নেই। কিন্ত আদালতের আদেশ ছাড়া তারা ঘর ভাঙ্গতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তদাক্রোশে আক্রোশান্বিত হয়ে পুলিশ অফিসারগণের যোগসাজেসে আব্দুল সালামের টিনশেডের ঘর ভাংচুর ও লুটপাট এমনকি তাদের পরিবারের সদস্যদের মারধর করে আহত করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।এ বিষয়ে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ এর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত থাকায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।