ছাতকে ফসলী জমি দখল নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা
শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জের ছাতকের কালারুকা ইউনিয়নের রায়সন্তোষপুর গ্রামে মৌখিকভাবে খরিদকৃত ১৫শতক ফসলী জমিম দখল নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে কোন সময় বড় ধরনের ধরনের দুর্ঘটনার আশষ্কা দেখা দিয়েছে।প্রশাসনের বাধাঁ নিশেষকে বৃদ্ধ্ঙ্গাুল দেখিয়ে ফিরোজ আহমদের বিরুদ্ধে মৌখিক বিত্রিু করা জায়গা দখল, পাকা ধান লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। ভাংচুর, হামলা, মারপিঠ মামলাসহ ফিরোজ আহমদ ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের রায়সন্তোষপুর গ্রামের মৌজার ২৬৬ নং জেল এল এস এ খতিয়ান নং ১৯২ ও ৯৪ এস এ দাগ ৬৬৯ পরিমান ১৫ শতক ভুমি জমি গত ২০০৭ সালে ফিরোজ আহমদ, মাসুক মিয়া ও আশিক মিলে একই গ্রামের সোনা মিয়ার পুত্র কাপ্তান মিয়ার কাছে ৭৫হাজার টাকা মুল্য নির্ধারন করে মৌখিকভাবে জায়গা বিত্রিু করেন। এবং টাকা পরিশোধ করে কাপ্তান মিয়া চাষাবাদ করে আসছেন দীর্ঘ ১৪বছর ধরেই। অভিযোগ উঠেছে মৌখিক বিক্রিত ভুমি আজ অথবা কাল দলিল রেজিষ্ট্রি করে দেয়ার নামে সময় ক্ষেপন করতে থাকেন ফিরোজ আহমদ গং। এ অবস্থায় তার একভাই মৃত্যু রবন করেন এবং অপর ভাই দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে থাকেন। তার খরিদকৃত ভুমি দলিল না করায় এ ঘটনা নিয়ে গ্রামের একাধিক শালিশ বৈঠক অনুষ্টিত হয়। এ বৈঠকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ এলাকার গন্যমান্যরা তাদের বিরোধ নিম্পতি লক্ষে নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্টিত হয়েছে।
এ বৈঠকে লুটকৃত ধান শালিসকারিরা আটক করে দু’পক্ষের জবানবন্ধি শুনে বৈঠকে ফিরোজ আহমদ ও মাসুক আলীকে কাপ্তান মিয়ার লুটকৃত ধান ফেরত ও বিত্রুয়কৃত ভুমি রেজিষ্ট্রি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। কিন্ত আবারো ফিরোজআলী গং এলাকাবাসীর লোকজনের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে রাতে আধারে তার পাকা ধান কেটে নেন। এ অবৈধ কাজে বাধাঁ ও প্রতিবাদ করায় গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে আবারোও শনিবার সকাল থেকে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। যে কোনো সময় এ ভয়াবহ সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে।এ ঘটনায় কাপ্তান মিয়া বাদী হয়ে ফিরোজ আহমদকে প্রধান আসামী করে, মাসুক আলী, ফয়সল আহমদ, সালমাম,কামাল, ইসলাম আলী, সুন্দর আলী, নুর আহমদ, কাহার, নোমান, কালাম, রুবেল আহমদ ও রহিম আলীসহ ১৩জনকে অভিযুক্ত করে ছাতক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এ বিষয়ে মামলার বাদী কাপ্তান মিয়া জানান, ২০০৭ সালে ফিরোজ আহমদসহ তার ৪ ভাই কাছে থেকে তার কাছে মৌখিক ভাবে জায়গা খরিদ করেছি ।১৪ বছর পর বলেন বিত্রিু করেনি। তার বিরুদ্ধে আমি প্রতারনা, লুটপাটের মামলা দায়ের করেছি ।
এ বিষয়ে ফিরোজ আহমদ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দীঘদিন ধরে একটি চত্রু তার পরিবারদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, মিথ্যা মামলা দিয়ে হযরানি করে আসছে।এ বিষয়ে এস আই লিটন চন্দ্র রায় জানান, ফিরোজ আহমদ গংদের বিরুদ্ধে ১৩জনকে অভিযুক্ত করে প্রতারনা, চুরি ধারায় তদন্ত রিপোট আদালতে দাখিল করা হয়েছে।ছাতক থানার ওসি শেখ নাজিম উদ্দিন জানান, এ ঘটনার সত্যতা পেয়ে তদন্তকারী কর্মকতা অভিযুক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত রিপোট দাখিল করা হয়েছে।