ছাতকে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি দুর্ভোগে পানিবন্দি মানুষ

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ ছাতকে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সার্বিকভাবে ৬ ইঞ্চির মতো পানি কমেছে। সড়ক যোগাযোগ এখনো বিচ্ছিন্ন। উপজেলায় পানিবন্দী লক্ষাধিক মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।শহরে কয়েকটি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া লোকজনের মধ্যে সংসদ সদস্য, পৌরসভা, ইউএনওসহ বিভিন্ন সংস্থা খাবার বিতরণ করে যাচ্ছে। কিন্তু গ্রামের মানুষ অনেকটাই আশ্রয়হীন ও অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। উপজেলার নোয়ারাই, ইসলামপুর, চরমহল্লা, উত্তর খুরমা, ভাতগাঁও ইউনিয়নের গ্রামাঞ্চলে পানিবন্দী কর্মহীন অবস্থায় চরম কষ্টে বসবাস করছে শ’-শ’ পরিবার। অনেকের ঘর বাড়ি স্রোতের টানে ভেসে গেছে। এসব পানিবন্দী অসহায় মানুষ ত্রাণ সহায়তা থেকেও বঞ্চিত রয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে ছাতকে সুরমা নদীর পানি এখনো বিপদসীমার ১.৫১ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পানি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কিছুটা কমতে শুরু হয়েছে। তবে ধীর গতিতে পানি কমছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জনপ্রতিনিধি ও সামাজিক সংগঠন বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করে যাচ্ছে।বৃহস্পতিবার দিনভর সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক ও সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন ছাতক-দোয়ারাবাজারের বিভিন্ন এলাকায় দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন।ইউএনও মামুনুর রহমান জানান, বন্যা পরিস্থিতি সার্বিকভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। এজন্য একটি টিমও গঠন করা হয়েছে। বানভাসি মানুষের সহায়তায় জন্য প্রস্তুত রয়েছে উপজেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। বেশি দুর্গত ২ ইউনিয়নে ৫ মে. টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

You might also like