ছাতকে বালু খেকোচক্রের হামলায় ৬ নৌ পুলিশ আহত

শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী

সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জের ছাতকে চেলা নদীতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনে নিষেধ করায় সংঘবদ্ধ বালু খেকোচক্রের হামলায় ৬ জন নৌ পুলিশ আহত হয়েছেন।আহতরা হলেন, ছাতক নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইচার্জ ইনসপেক্টর মঞ্জু আলম, সাব ইন্সপেক্টর মো. হাবিবুর রহমান, এএসআই সবুজ হোসেন, কনস্টবল সৈকত কুমার দেব, সাব্বির আহমদ ও শাহজালাল। আহতদের ছাতক হাসপাতালে ভর্তী ও চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।এ ঘটনার খবর পেয়ে আজ সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে ছাতক হাসপালে আহতদের দেখতে আসেন সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান (বিপিএম), নৌ পুলিশ সিলেট রেঞ্জ এর এসপি শম্পা ইয়াসমিন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী পুলিশ সুপার ছাতক সার্কেল বিল্লাল হোসেন, ছাতক থানার ওসি শেখ মো. নাজিম উদ্দিন।গতকাল রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নদীর উজান ছাটিবর নিয়ামত গ্রামের পাশে এ হামলার ঘটনাটি ঘটে।ছাতক নৌ পুলিশ সুত্রে জানা যায়, রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মর্তার বৈঠক করেন ছাতক নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচাজ ও সঙ্গীয় ফোর্স।সন্ধ্যায় কোম্পানিগঞ্জ থেকে ফেরার পথে দেখেন চেলা নদীতে ৯টি ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে প্রতিটি ৫০ হাজার ফুট বালু ধারন ক্ষমতা ৪ টি বাল্কহেড লোড করা হচ্ছে। এ সময় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বালু খেকোচক্রকে নিষেধ করা হয়।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উজান ছাটিবর নিয়ামত গ্রামের পাশে আসা মাত্র ৪ টি ট্রলার নিয়ে বালু খেকো ফয়েজ, বুলবুল, আমির হোসেন, সালা উদ্দিন, মাহতাবসহ ৭০ থেকে ৮০ জন বালূ খেকোরা নৌ পুলিশের উপর হামলা করে। এ সময় ১২ টি মোবাইল সেট, ৩ জোড়া হাতকড়া, ৬টি পোষাক, একটি পেনড্রাইব ও নগদ ১৮ হাজার ৫শত টাকা ছিনিয়ে নেয় সংঘবদ্ধ বালু খেকোচক্র।

এ বিষয়ে ছাতক নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইচার্জ ইনসপেক্টর মঞ্জু আলম বলেন, এর আগে গত ১৪ জুন সুরমা নদীর তিন মোহনা থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছিল ঐ ভূমি খেকো চক্র। সে সময় তিনজনকে আটক করা হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।নৌ পুলিশ সিলেট রেঞ্জ এর এসপি শম্পা ইয়াসমিন, করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনের সময় নদী পথে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন ও চাঁদাবাজি করা হচ্ছে কি না সেই জন্য একটি টিম গতকাল রোববার বের হয়েছে। কিন্ত নৌ পলিশের উপর হামলা মানে বাংলাদেশ পুলিশের উপর হমালা। তিনি আরো বলেন, এ হামলার ঘটনায় নিয়মিত মামলা করা হবে।সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান (বিপিএম) বলেন, শুধু চাঁদাবাজি ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ক্ষেত্রেই না, যে কোন অপরাধের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছি। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

You might also like